স্বাস্থ্যভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনের জোর প্রস্তুতি! হাজির বায়োটয়লেট, ত্রিপল, খাবার

স্বাস্থ্যভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের আন্দোলনের জোর প্রস্তুতি নিয়েছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা প্রচুর বায়োটয়লেটের পাশাপাশি ত্রিপলের ব্যবস্থা করেছেন।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
junior doctors swasthya bhawan abhijan

নিজস্ব সংবাদদাতা:  অনির্দিষ্টকালের জন্য আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েই কার্যত স্বাস্থ্যভবন অভিযান করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। লালবাজারের ক্ষেত্রে শৌচালয় থেকে একাধিক সমস্যা রাতভোর আন্দোলনে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল, স্বাস্থ্যভবন অভিযানে সেই ব্যবস্থা জুনিয়র চিকিৎসকরা করতে শুরু করেছে। রাস্তার মধ্যে ত্রিপল পেতে জুনিয়র চিকিৎসকরা বসেছেন। এছাড়াও প্রচুর ত্রিপলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।  প্রচুর বায়োটয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে। এছাড়াও রাতের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।  এখন দেখার বিষয় সরকারের তরফে আলোচনায় বসায় আর কোনও প্রস্তাব আসে কি না। 

Junior doctor protest

প্রসঙ্গত, বিকেল ছটার একটু পরে স্বাস্থ্য সচিব ইমেল করে নবান্নে বৈঠকে ডেকে পাঠান। যদিও ইমেলে ছিল, নবান্নের বৈঠক হবে সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা কোনও উল্লেখ ছিল না। কিন্তু চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সাড়ে সাতটা পর্যন্ত আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। তারপর তিনি নবান্ন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ইমেলের ভাষা অপমানজনক। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, যেভাবে ডাকা হয়েছে, তাতে আন্দোলনকেই অপমান করা হয়েছে। 

hgnjjuuk

অন্যদিকে, বার বার অভিযোগ করা হয়েছে, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়েছে। এই বিষয়ে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয় জুনিয়র চিকিৎসকদের তরফে। সেখানে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন,  “রাজ্যে মোট সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ২৪৫টি। যার মধ্যে মেডিক্যাল কলেজ ২৬টি। মোট জুনিয়র চিকিৎসকের সংখ্যা ৭ হাজার ৫০০-র বেশি নয়। পশ্চিমবঙ্গে রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের সংখ্যা ৯৩ হাজার। মাত্র কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজে যেখানে সিনিয়ররা পরিষেবা দিচ্ছেন, শুধু জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি করছেন বলে স্বাস্থ্য পরিষেবা কীভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে?”

 tamacha4.jpeg