সরকার যদি আন্দোলন আটকাতে চায়.... এবার আরও বড় পদক্ষেপের পথে জুনিয়র চিকিৎসকরা

আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা এবার রাজ্য সরকারকে পাল্টা শর্ত দিলেন।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
unior doctor protest


নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার সুপ্রিম কোর্ট আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে যোগ দিতে বলেছিল। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে যোগ দিতে হবে। এবার সেই বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত জানালেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। 

সোমবার মাঝরাতে জুনিয়র চিকিৎসকরা একটি সাংবাদিক সম্মেলন ডাকেন। সেখানে ছাত্রদের পক্ষে বলা হয়, মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে যদি স্বাস্থ্য দফতর তাদের দাবি মেনে নেয়, সেক্ষেত্রে তারা কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার কথা ভাববেন। এছাড়াও জুনিয়র চিকিৎসকরা রাজ্যের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থা তুলে ধরেছেন। সেই দায় জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের ওপর চাপানো হচ্ছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। 

পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকরা মঙ্গলবার দুপুর ১২টা নাগাদ করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্য ভবন অভিযান করবে বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁরা জানিয়েছেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলন যদি থামিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে যে জিনিস লালবাজার অভিযানে দেখা গিয়েছে, সেই জিনিস দেখা যাবে। 

rg kar protest

আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, “গণতান্ত্রিকভাবে প্রত্যেকটি কলেজে নির্বাচন করাক সরকার। আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে জানিয়ে দিতে চাই মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে রাজ্য সরকার আমাদের এই দাবিগুলো মিটিয়ে দিক, তবেই আমরা কর্মবিরতি প্রসঙ্গে ওনাদের আবেদন নিয়ে ভেবে দেখতে পারি।”

আরজি করে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা বলেন, "সরকারি হাসপাতাল ২৪৬। মেডিক্যাল কলেজ ২৬টি। জুনিয়র চিকিৎসকরা ২৭ হাজার। রাজ্যে রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের সংখ্যা ৯৩ হাজার।  তাই জুনিয়র চিকিৎসকদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়ছে, এই তথ্য অবান্তর। জুনিয়র চিকিৎসকরা শুধুমাত্র শিক্ষানবীশ। যদি জুনিয়র চিকিৎসকদের জন্য স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙে পড়ে তাহলে বুঝতে হবে রাজ্যে উপযুক্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা আদৌ নেই। নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। রাজ্যের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবা অক্ষত রয়েছে। অন্যদিকে, কপিল সিব্বল কোনও একটি রাজনৈতিক দলের ঘটনাকে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের ওপর চাপাতে চাইছে। জুনিয়র চিকিৎসকরা কোনও রাজনৈতিক আন্দোলনকে সমর্থন করেনি। করবেও না। তাদের আন্দোলন একেবারে অরাজনৈতিক। রাজ্যবাসীকে আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই, মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে। সিনিয়র চিকিৎসকরা রোগী দেখছেন।"

 tamacha4.jpeg