পিছু হটার রাস্তা নেই... বিকাশ ভবনের সামনে থেকে গর্জে উঠলেন মানুষ গড়ার কারিগররা

আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলেন, "আমাদের দাবি মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে স্বীকার করুণ এসএসসি ও শিক্ষা দফতরের দুর্নীতির জন্য়ই আমাদের চাকরি গেছে।"

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
teachers protest leader

নিজস্ব সংবাদদাতা: শুক্রবার দুপুর থেকে বিকাশ ভবন কার্যত দুর্গে পরিণত করা হয়েছে।  গোটা বিকাশ ভবন চত্বর ব়্যাফ ও পুলিশ দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন। এক আন্দোলনকারী শিক্ষক বলেন, "আমাদের দাবি OMR শিটের মিরর ইমেজ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। যোগ্য শিক্ষকরা কোনওভাবেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন না। যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি ফেরত দিতে হবে।" এই দাবি নিয়েই চাকরিহারা আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিকাশ ভবন ঘেরাও করেছেন। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলেন, "আমরা চেয়েছিলাম মুখ্যমন্ত্রী এখানে আসুন, আমাদের দাবিগুলো শুনুন। তিনি নিজ মুখে আমাদের আর মিডিয়ার সামনে বলবেন, এসএসসি ও শিক্ষা দফতরের জন্য যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি গেছে। তিনি যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি অব্যাহত থাকবে। "

teachers protest police lathicharge

আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা বলেন, "আমরা দিনের পর দিন রাস্তায় পড়ে রয়েছি। কেউ আমাদের কাছে আসেনি। মাত্র একদিনের ঘেরাওয়ে সবাই ভয় পেয়ে গেল। চোরের মতো পুলিশের ঘেরাটোপে পালিয়ে যেতে হল। প্রথমে আমরা বিকাশ ভবনের ভিসিটরদের ছেড়ে দিতে চাইছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করেই ওপর থেকে লোকজন নীচে নেমে আসেন। আমাদের সঙ্গে অকথ্য ভাষায় কথা বলেন, হুমকি দেন। আমাদের জুতো দেখান। আমাদের ওপর পেপার ওয়েট ছোঁড়েন বিকাশ ভবনের কিছু কর্মীরা। তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ কী ব্যবস্থা নিয়েছে? আমাদের বিরুদ্ধে পুলিশ মামলা করেছে। কিন্তু রাতে গুণ্ডাবাহিনী যখন আমাদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করল, পুলিশ তখন কী ব্যবস্থা নিয়েছে? বরং পুলিশ আমাদের মেরেছে। কারও হাত ভেঙেছে, কারও পা ভেঙেছে, কারও মাথা ফেটেছে।" 

বৃহস্পতিবার সকালে তৃণমূলের এক নেতা ও তাঁর অনুগামীরা এসে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ওপর হামলা করেন। এই প্রসঙ্গে  আন্দোলনকারী এক শিক্ষক বলেন, "এক নেতা ও তাঁর অনুগামীরা আমাদের মারধর করে। সংবাদমাধ্যমের ওপর মারধর চালায়। আমরা আজ লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি পাইনি বলেই আমাদের ওপর মারধর করা হয়। আজ যদি আমরা লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে চাকরি করতাম, তাহলে এই নেতারাই আমাদের সরবৎ খাওয়াতো।"