রাত পোহালেই অমিত শাহের সভা, মঞ্চ থেকে নিরাপত্তা কতটা প্রস্তুত বঙ্গ বিজেপি

বুধবার বিজেপির সভা ধর্মতলায়। সেখানে উপস্থিত থাকছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সভাকে কেন্দ্র করে বিজেপির ব্যস্ততা তুঙ্গে। ত্রিস্তরীয় মঞ্চ থেকে নিরাপত্তা, সবেতেই রয়েছে বিজেপির চমক।

New Update
amit shah12.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: অমিত শাহের সভার জন্য ৬০ ফুটের মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। প্রত্যেকটি স্তর ১৬ ফুট চওড়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ত্রিস্তরীয় মঞ্চের অমিত শাহের ডান ও বাম দিকে থাকছেন যথাক্রমে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারী। ধাপে ধাপে বসার জায়গা তৈরি করা হয়েছে। রাজ্যের নেতৃত্ব ও বিজেপির কর্মী সমর্থকদের বসার জায়গার জন্য রয়েছে আলাদা চমক।

 

জানা গিয়েছে, অমিত শাহের মঞ্চের কাঠামো লোহার রড দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। বড় একটি মঞ্চকেই তিন ভাগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মঞ্চের প্রথম স্তরে থাকবেন অমিত শাহ, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঞ্চের দ্বিতীয় স্তরে থাকবেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বরা।  তৃতীয়ভাগে থাকবেন রাজ্যের 'বঞ্চিত' মানুষরা। এই মঞ্চেই থাকছে ড্রপ বক্স। সেই বক্সে রাজ্যের মানুষ তাঁদের অভাব, অভিযোগ, ক্ষোভ জানাতে পারবে। এছাড়া মঞ্চের সামনে ৩৫ ফুট জায়গা থাকবে ডি জোন। মূল মঞ্চে ও ডি জোনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন অমিত শাহের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়াও আশেপাশের বাড়ি থেকেও চলবে নজরদারি। 

ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে অমিত শাহের সভার জন্য নাছোড় ছিল বিজেপি। তবে পুলিশের থেকে এই সভার অনুমতি বাতিল করে দেওয়া হয়। বিজেপি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ এই সভার অনুমতি দেয়। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সেখানেও রাজ্যের অস্বস্তি বাড়িয়ে বিজেপিকে অনুমতি দেয় আদালত। সেই সময় কেন্দ্রের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে রাজ্য। আদালত তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের সভা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। রাজ্যের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, শহরের একেবারে কেন্দ্রস্থলে সভার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছে। এই সভার জেরে শহর স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে। সাধারণ মানুষের অসুবিধার কথা ভেবে এই অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এই প্রসঙ্গতে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, সাধারণ মানুষের কথা ভাবে না। মানুষের অসুবিধার কথা না ভেবেই শহরের কেন্দ্রেই আন্দোলন থেকে সভা সব হয়। প্রতিক্ষেত্রে প্রশাসন অনুমতি দিয়ে দেয়। তাহলে এক্ষেত্রে কেন অনুমতি দেওয়া হবে। আদালতের তরফে জানানো হয়েছিল, পুলিশের তরফে কিছু বিধি নিষেধ জারি করা হতে পারে। কিন্তু অনুমতি যেন দিয়ে দেওয়া হয়। আদালতের এই সিদ্ধান্তকে বিজেপি বড় জয় হিসেবেই দেখছে।