‘ভয় পেয়ে আমাকে থামাতে চেয়েছিল ওরা!’ — শান্তনু সেনের রেজিস্ট্রেশন বহাল, রাজ্য কাউন্সিলকে কটাক্ষ

শান্তনু সেনের রেজিস্ট্রেশন বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিল হাইকোর্ট। এরপরেই বিস্ফোরক মন্তব্য করেন শান্তনু সেন।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
santunu sen.JPG

নিজস্ব সংবাদদাতা: গত ৩ জুলাই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায় জানিয়ে ছিলেন, চিকিৎসক তথা তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের রেজিস্ট্রেশন দু’বছরের জন্য বাতিল করা হচ্ছে। অর্থাৎ ওই সময়সীমার মধ্যে শান্তনু সেন ডাক্তারি প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। ওই ঘোষণার পর রাজ্য চিকিৎসক মহলে শুরু হয় তীব্র বিতর্ক ও চাঞ্চল্য।

তবে আজ, সোমবার এক গুরুত্বপূর্ণ রায়ে আদালত সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে দেয়। ফলে শান্তনু সেনের রেজিস্ট্রেশন বহাল থাকছে, এবং রোগী চিকিৎসার ক্ষেত্রেও কোনও বাধা থাকছে না তাঁর। আদালতের এই রায়ের পর স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন শান্তনু নিজে এবং তাঁর অনুগামীরা।

রায়ের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শান্তনু সেন কড়া ভাষায় বলেন, "আমি আগেই বলেছিলাম, সাহস থাকলে আমাকে সাসপেন্ড করে দেখান। আজ আদালত দেখিয়ে দিল, অন্যায়, অনৈতিক এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সিদ্ধান্তের পরিণতি কী হয়। যাঁরা এই ষড়যন্ত্র করেছিলেন, তাঁদের মুখে চপেটাঘাত করল বিচারব্যবস্থা।"

তিনি আরও দাবি করেন, কাউন্সিলের এই সিদ্ধান্ত আসলে ছিল এক ধরনের ‘ভয় দেখানোর কৌশল’। তাঁর কথায়, “ভয় পেয়েই আমাকে থামানোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু সত্যের জয় আজ হয়েছে।”

calcutta high court

শান্তনু জানিয়েছেন, তিনি আগের মতোই নিজের FRCP ডিগ্রি ব্যবহার করবেন এবং পুরোদমে চিকিৎসা পরিষেবায় নিয়োজিত থাকবেন। তাঁর বক্তব্য, “একজন চিকিৎসক হয়ে মানুষের পাশে থাকা আমার পেশা, এবং তা থেকে আমাকে আটকানো যাবে না।”

এরপর সুদীপ্ত রায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে শান্তনু বলেন, “চিকিৎসকদের ভয় দেখিয়ে রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল যেভাবে চলেছে, তার দায় দায়িত্ব সুদীপ্ত রায়ের। তাঁর বয়স হয়েছে, আর সেই বয়সের ভারেই তিনি এই ধরনের কাজ করছেন। চিকিৎসক সমাজও এই ধরণের আচরণে হতাশ এবং সরকারের ওপর আস্থা হারাচ্ছে।”