সরকারের তরফে মিলল না কোনও বার্তা! দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের

দ্রুত শারীরিক অবস্থার অবনতি অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
hungery strike

নিজস্ব সংবাদদাতা:  সাত জন  জুনিয়র চিকিৎসক ইতিমধ্যে  অনশনে বসেছেন। অনশনের ৭২ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে কোনও বার্তা অনশন মঞ্চে আসেনি। অন্যদিকে, অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। কমছে শরীরে শর্করার পরিমাণ।  অনশনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের রক্তচাপ দ্রুত ওঠা-নামা করছে। এই বিষয়ে সিনিয়র চিকিৎসকরা ফের একবার হুমকি দেন। তাঁরা জানান, জুনিয়র চিকিৎসকদের কারও কোনও ক্ষতি হলে কঠিন থেকে কঠিনতর পদক্ষেপ তাঁরা নিতে পারেন। 

দশ দফা দাবি নিয়ে ধর্মতলায় চলছে অনশন। জুনিয়র চিকিৎসকদের সাত জন অনশন করছেন। এবার আন্দোলনের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রায় ৫০ জন চিকিৎসক গণইস্তফা দিয়েছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়াতে তাঁরা এই বার্তা দিয়েছেন। অনেক আগে থেকেই সিনিয়র চিকিৎসকরা গণইস্তফার কথা বলেছিলেন। এবার তা করে দেখালেন। সিনিয়র চিকিৎসকরা যখন গণইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে এলেন, তখন জুনিয়র চিকিৎসকরা হাততালি দিয়ে তাঁদের অভিবাদন জানান। 

একটি হাসপাতাল থেকে এতজন চিকিৎসক গণইস্তফা দিলে কীভাবে হাসপাতালে স্বাস্থ্যব্যবস্থা চলবে?  একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে জানা গিয়েছে, তাঁরা ইস্তফা দিলেও নিজেদের কাজ চালিয়ে যাবেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা প্রাণের বাজি নিয়ে অনশন শুরু করেছেন। কিন্তু বার বার তাঁদের আন্দোলনকে চেপে দেওয়ার জন্য প্রশাসন অনেক চেষ্টা করেছে। অনশন নিয়ে, চিকিৎসকদের আন্দোলন নিয়ে অনেক কটূক্তি করা হয়েছে। যার জেরে সিনিয়র চিকিৎসকরা বিরক্ত হয়ে পড়েছেন। মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসকরা একই পথে হাঁটতে চলেছেন। এই বিষয়ে স্বাস্থ্যসচিবকে একটি ইমেল করেছেন। জানা গিয়েছে, SSKM এর চিকিৎসকরাও গণইস্তফার পথে হাঁটতে পারেন। 

 tamacha4.jpeg