সরকারি কর্মচারী বলেই কি গলা চেপে ধরবে পুলিশ? প্রশ্ন ছুঁড়ে অন্ধকার ভ্যানে হারিয়ে গেলেন শিক্ষকরা!

চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের আন্দোলন ঘিরে পুলিশের অতি সক্রিয়তার অভিযোগ।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
breaking new 2

নিজস্ব সংবাদদাতা: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এসএসসি। কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে পথে নেমেছেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। যাঁরা শুরু থেকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন—আর পরীক্ষা নয়, তাঁরা তাঁদের ন্যায্য, হকের চাকরি ফেরত চান।

শুক্রবার সকালে শিয়ালদা থেকে নবান্ন পর্যন্ত অর্ধনগ্ন মিছিলের ডাক দিয়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। কিন্তু তার আগেই গোটা শিয়ালদা এলাকা ঘিরে ফেলা হয় নজিরবিহীন পুলিশি নিরাপত্তায়। চারটি ডিভিশনের ডিসি মজুত থাকলেও শুরু হতে দেওয়া হয়নি মিছিল।

পুলিশ জানিয়ে দেয়—এই জমায়েতের কোনও অনুমতি নেই। রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে সবাইকে। সেই অনুযায়ী সকাল থেকেই শুরু হয় ধরপাকড়। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের পুলিশ প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। কেউ কেউ প্রতিবাদ করে প্রশ্ন করেন—“আমাকে কেন তুলছেন? আমি কী করেছি?” কিন্তু উত্তর নেই, শুধু গাড়িতে তুলে নেওয়া।

kolkata police edit .jpg

দুই মহিলা চাকরিপ্রার্থীকেও একইভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের একজন গাড়িতে উঠে চিৎকার করে বললেন, “সরে যেতে বলেছিলেন, সরে গেছি। তাও কেন তুলছেন?” কিন্তু তাও কোনও উত্তর নেই। তাঁরা এখনও খাতায়-কলমে সরকারি কর্মচারী, তবুও তাঁদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয় প্রিজন ভ্যানে।

সরকারি পরীক্ষার নামে প্রতারণার বিরুদ্ধে এ আন্দোলন এক গভীর ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু তার আগেই প্রশাসনের দমননীতি ফের একবার প্রশ্ন তোলে—গণতন্ত্রে কি প্রতিবাদেরও অধিকার নেই?