নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র চিকিৎসকরা লাগাতার আন্দোলন করে চলেছেন। জনসাধারণ তাঁকে স্বাগত জানিয়েছে। জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনে সামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ। জুনিয়র চিকিৎসকরা একের পর এক আহ্বান করে গিয়েছেন। আর সাধারণ মানুষ তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন। কখনও মহামিছিলে যোগদান হোক বা কখনও ঘরের লাইট বন্ধ করে মোমবাতি হাতে বাইরে বেরিয়ে আসা। এবার জুনিয়র চিকিৎসকরা একাদশীর দিন একবেলা অরন্ধনের ডাক দিলেন।
আন্দোলনকারী এক জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, "আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা যখন অনাহারে, অনশনে থাকতেন...তাঁদের সমর্থনে সাধারণ মানুষরা অরন্ধন পালন করতেন। দেশজুড়ে অরন্ধন পালন করতেন। আমাদের তরফ থেকে আপনাদের একটি ছোট আবেদন করতে চাই, আগামী পরশু একাদশীর দিন আমাদের অনশনকারীদের তখন সাতদিন অনশন পূর্ণ হয়ে গেছে। তাঁদের সংহতিতে, তাঁদের পাশে দাঁড়াতে ...আপনারা যদি একাদশীর দিন একবেলা বাড়িতে বাড়িতে অরন্ধন পালন করেন...আমাদের তরফ থেকে আপনাদের জন্য আবেদন রইল।"
আজকে আইএমএ-এর সর্বভারতীয় সভাপতি অনশন মঞ্চে উপস্থিত হন। দীর্ঘক্ষণ তিনি জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বিশেষ করে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর তিনি কঠোর ভাষায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লেখেন। অন্যদিকে, জুনিয়র চিকিৎসকরা আজকে মহাসমাবেশের ডাক দেন। মহাসমাবেশে জুনিয়র চিকিৎসকরা সাধারণ মানুষকে আসার জন্য আহ্বান করেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের সেই ডাকে কয়েক হাজার সাধারণ মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের ডাকা মহাসমাবেশকে সমর্থন জানাল বামফ্রন্ট। সাধারণ মানুষকে সমাবেশে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়ে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট সিপিএমের। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এখনও কোনও সহানুভূতি জানায়নি।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us