/anm-bengali/media/media_files/rWT4KVLpSXbtnDDhqiUM.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: চিকিৎসা শিক্ষার গায়ে ফের ঘুষের কালি! পশ্চিমবঙ্গ থেকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের (NMC) অ্যাসেসর হিসেবে দায়িত্বে থাকা বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ তপন কুমার জানা রবিবার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI)-এর হাতে গ্রেফতার হলেন। সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় তাঁকে হাতেনাতে ধরেছে তদন্তকারী সংস্থা।
অভিযোগ, কর্ণাটকের বেলাগাভিতে অবস্থিত একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছিলেন চিকিৎসক তপন কুমার জানা। ঘুষের বিনিময়ে কলেজের পক্ষে একটি 'সুবিধাজনক ও ইতিবাচক' নিরীক্ষণ রিপোর্ট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি, যাতে সংশ্লিষ্ট কলেজ সরকারিভাবে মঞ্জুরি ও স্বীকৃতি পেতে কোনও সমস্যায় না পড়ে।
সিবিআই এই মামলায় শনিবারই তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে —চিকিৎসক তপন কুমার জানা, দুই বেসরকারি ব্যক্তি এবং সংশ্লিষ্ট বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ। তদন্তকারীদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই এই প্রক্রিয়ায় ঘুষ-নির্ভর রিপোর্ট দেওয়ার চক্র চলছিল, এবং অবশেষে ক্লিনিক্যালি সাজানো ফাঁদে পা দিয়ে ধরা পড়েন চিকিৎসক তপন কুমার জানা।
/anm-bengali/media/media_files/eicS7wJTCIaBdSbpgClM.jpg)
এই ঘটনার পর চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থার স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে। জাতীয় স্তরের মেডিক্যাল রেগুলেটরি বোডির প্রতিনিধি হিসেবেই তিনি কাজ করছিলেন, অথচ সেই দায়িত্বের অপব্যবহার করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যত নির্ধারণ করছিলেন টাকার বিনিময়ে — অভিযোগ উঠছে এমনটাই।
ঘটনার জেরে চিকিৎসক মহল থেকে শুরু করে শিক্ষা মহলেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিরোধীদের একাংশ বলছে, এই ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, দেশজুড়ে মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন ঘিরে কীভাবে বড়সড় দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণের জাল বিস্তার করেছে।
সিবিআই ইতিমধ্যেই ধৃতের হেফাজতে আরও জেরা শুরু করেছে এবং ঘুষ লেনদেনে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি বেলাগাভির ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ এবং তার প্রতিনিধিদের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত জারি রয়েছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us