নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোররাত থেকে টানা অতি ভারী বৃষ্টিতে কার্যত বন্যার চেহারা নিয়েছে কলকাতা। রাস্তায় কোমরসমান জল, যান চলাচল সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে, জনজীবন বিপর্যস্ত। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাত্র দেড় ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও আবার এই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার। স্বাভাবিকভাবেই গোটা মহানগর যেন জলের নিচে ডুবে গেছে।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে নিজে রাস্তায় নেমে জলমগ্ন শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কোমর-সমান জল পেরিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর তিনি কন্ট্রোল রুমে গিয়ে বলেন —“আমরা প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করতে পারি না। সাধারণ বৃষ্টি হলে শহরে জল জমে না। কিন্তু এই অস্বাভাবিক বৃষ্টির সঙ্গে লড়াই করা অসম্ভব। নদী উপচে পড়ছে, খাল ভরে গেছে। যেখানে জল ফেলছি, সেখান থেকে তা আবার ফিরে আসছে।”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/06/23/water-logging-2025-06-23-18-51-51.webp)
তিনি আরও বলেন, “আমাদের পাইপলাইনের ক্ষমতা ঘণ্টায় ২০ এমএম বৃষ্টির জল সামলানো। কিন্তু যখন ঘণ্টায় ৩০০ এমএম বৃষ্টি হয়, তখন সেই জল নামতে অনেক সময় লাগে। আমরা চেষ্টা করছি, তবে প্রকৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। আশা করছি, আর প্রবল বৃষ্টি না হলে আজ রাত ১০টার মধ্যে জল নেমে যাবে।”
ফিরহাদের সতর্কবার্তা — “আমি কলকাতাবাসীকে অনুরোধ করছি, আজ যতটা সম্ভব বাড়ির বাইরে বেরবেন না। ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটেছে। আমরা পাওয়ার অফ রেখেছিলাম, কিন্তু মিটার শর্ট সার্কিট বা খোলা তারের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।”
কলকাতায় জল কখন কমবে? কী বলছেন কলকাতার মেয়র
ফিরহাদ হাকিমের আশ্বাস — “প্রবল বৃষ্টি না হলে রাত ১০টার মধ্যেই নামবে জল।”
নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোররাত থেকে টানা অতি ভারী বৃষ্টিতে কার্যত বন্যার চেহারা নিয়েছে কলকাতা। রাস্তায় কোমরসমান জল, যান চলাচল সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে, জনজীবন বিপর্যস্ত। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় মাত্র দেড় ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কোথাও আবার এই পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার। স্বাভাবিকভাবেই গোটা মহানগর যেন জলের নিচে ডুবে গেছে।
এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকালে নিজে রাস্তায় নেমে জলমগ্ন শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন কলকাতার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কোমর-সমান জল পেরিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার পর তিনি কন্ট্রোল রুমে গিয়ে বলেন —“আমরা প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করতে পারি না। সাধারণ বৃষ্টি হলে শহরে জল জমে না। কিন্তু এই অস্বাভাবিক বৃষ্টির সঙ্গে লড়াই করা অসম্ভব। নদী উপচে পড়ছে, খাল ভরে গেছে। যেখানে জল ফেলছি, সেখান থেকে তা আবার ফিরে আসছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের পাইপলাইনের ক্ষমতা ঘণ্টায় ২০ এমএম বৃষ্টির জল সামলানো। কিন্তু যখন ঘণ্টায় ৩০০ এমএম বৃষ্টি হয়, তখন সেই জল নামতে অনেক সময় লাগে। আমরা চেষ্টা করছি, তবে প্রকৃতির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো সম্ভব নয়। আশা করছি, আর প্রবল বৃষ্টি না হলে আজ রাত ১০টার মধ্যে জল নেমে যাবে।”
ফিরহাদের সতর্কবার্তা — “আমি কলকাতাবাসীকে অনুরোধ করছি, আজ যতটা সম্ভব বাড়ির বাইরে বেরবেন না। ইতিমধ্যেই শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ঘটেছে। আমরা পাওয়ার অফ রেখেছিলাম, কিন্তু মিটার শর্ট সার্কিট বা খোলা তারের কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে।”