‘তিলোত্তমার খুনি কারা?’ আদালতের কড়া বার্তা, হাজিরা দিতে হবে দুই প্রভাবশালীকে!

সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডলকে হাইকোর্টে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
Sandeep Ghosh


নিজস্ব সংবাদদাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রায় এক বছর অতিক্রান্ত। সেই বহুচর্চিত কাণ্ডের সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের। দীর্ঘদিন পর ফের একবার এই দুই বিতর্কিত চরিত্র উঠে এল আদালতের নজরে। শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অরিজিৎ মণ্ডল এবার সাফ জানিয়ে দিলেন—সন্দীপ ও অভিজিৎ, দু’জনকেই আগামী মঙ্গলবার আদালতে সশরীরে হাজির থাকতে হবে।

ধর্ষণ ও খুনের মতো ভয়ংকর অপরাধের তদন্তে নতুন গতি আনতে নির্যাতিতার পরিবার চায়, আদালতের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থল ঘুরে দেখুক তদন্তকারী সংস্থা। সেই প্রেক্ষিতেই শুনানি চলাকালীন বিচারক এই কড়া পদক্ষেপ নেন। তিনি বলেন, অভিযুক্তদের মতামত শুনতেই তাঁদের আদালতে হাজির থাকা প্রয়োজন। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেও সরকারি কৌঁসুলির উপস্থিতির নির্দেশ দেন বিচারক।

প্রসঙ্গত, টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে এই মামলায় গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান। তবে নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, জামিনের পর থেকে তিনি নিয়মিত আদালতে হাজিরা দেননি। একাধিকবার নির্দেশ দেওয়ার পর অবশেষে কোর্টে হাজির হন অভিজিৎ।

abhijitmondal

অন্যদিকে, একই মামলায় আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষও রয়েছেন অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে। তিনি ধর্ষণ-খুন মামলায় জামিন পেলেও বর্তমানে আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত পৃথক মামলায় জেলে রয়েছেন। সেই কারণে গত শুনানিতে তাঁকে শিয়ালদহ কোর্টে হাজির করানো যায়নি। কিন্তু এবার বিচারক জানিয়ে দিয়েছেন, কোনও অজুহাত চলবে না—জেলে থাকলেও সন্দীপ ঘোষকে মঙ্গলবার আদালতে হাজির করতেই হবে।

আদালতের এই নির্দেশ নতুন করে আলোড়ন ফেলেছে রাজ্যের চিকিৎসা মহল ও প্রশাসনিক স্তরে। এক বছরের মাথায় ফের চাপে দুই প্রভাবশালী অভিযুক্ত, প্রশ্ন উঠছে—তদন্ত কি অবশেষে সঠিক পথে এগোচ্ছে?