নিজস্ব সংবাদদাতা: আমরা স্কুলে যেতে পারছি না। তিন মাস ধরে বেতন বন্ধ। এবার তো সেই সামান্য ভাতাটুকুও পাব না।’— চোখে জল, গলায় ক্ষোভ নিয়ে বললেন এক চাকরিহারা শিক্ষাকর্মী। কলকাতা হাইকোর্টের সাম্প্রতিক অন্তর্বর্তী রায়ের পরে যেন আবারও অনিশ্চয়তার ঘোর অন্ধকারে ডুবে গেলেন হাজার হাজার চাকরি হারানো শিক্ষাকর্মীরা। আদালতের নির্দেশে স্কুলে যাওয়া বন্ধ, আর রাজ্য সরকার যে সাময়িক ভাতা দিচ্ছিল, সেটাও আপাতত বন্ধ থাকবে।
এক চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীর কথায়, “এটা নিঃসন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক। আমরা কেউ দুর্নীতি করিনি। অথচ অন্যের ভুল, অন্যের জালিয়াতির ফল ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের। এর চেয়ে অপমানের আর কী হতে পারে?” আরেকজন বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলেছিলাম— যাঁরা যোগ্য নন, তাঁদের বাদ দেওয়া হোক। কিন্তু আমাদের মতো যোগ্য চাকরিহারাদেরও কেন এক সারিতে ফেলে দোষী বানানো হচ্ছে?”
চাকরিহারাদের একাংশ জানাচ্ছেন, তাঁরা চেয়েছিলেন ন্যায্য বিচার, যোগ্যদের পাশে দাঁড়াতে। কিন্তু এখন সেই আশাও যেন দুলে উঠেছে। কারণ এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের ফলে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁদের আর কোনও ভাতা বা আর্থিক সাহায্য মিলবে না।
তাঁদের অভিযোগ, “আমরা তো বিচারব্যবস্থার উপর ভরসা করেই লড়ছিলাম। কিন্তু আজ মনে হচ্ছে— এই লড়াইটা কোনওদিন শেষ হবে না। আমরা স্কুলে ফিরব কি না, জানি না। কিন্তু এই অবমাননা কবে শেষ হবে, সেটাই বড় প্রশ্ন।”
এখন আদালতের পরবর্তী শুনানির দিকে তাকিয়ে রয়েছেন রাজ্য ও চাকরিহারা শিক্ষকরা। কিন্তু ততদিন তাঁদের বুকে চাপা যন্ত্রণা, সংসারে টানাপোড়েন, আর সামাজিকভাবে এক অবাঞ্ছিত অস্তিত্ব নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us