/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/BugrCE9ia4gtmQ6NM8BY.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দশটি শ্রমিক সংগঠনের ডাকা মঙ্গলবারের সাধারণ ধর্মঘট ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গেল উত্তেজনা ও বিক্ষিপ্ত অশান্তি। হুগলি ও ইছাপুরে সকাল থেকেই রেল অবরোধে নেমে পড়েন ধর্মঘট সমর্থকেরা। ঘাটালে পুলিশের সঙ্গে অবরোধকারীদের বচসা বেধে যায়, আর বীরভূমে টায়ার জ্বালিয়ে পথে প্রতিবাদ জানানো হয়।
উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত এবং হুগলির পুরশুড়াতেও প্রধান সড়কে ব্যারিকেড তৈরি করে চলে বিক্ষোভ। অন্যদিকে, উত্তরের জেলা জলপাইগুড়িতে বনধ সমর্থন করার অভিযোগে কয়েকজন বাসচালককে আটক করে পুলিশ, যা ঘিরে ছড়ায় উত্তেজনা।
তবে সবচেয়ে বেশি উত্তেজনার ছবি ধরা পড়েছে যাদবপুরে। সকাল সকাল ৮বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন ধর্মঘটকারীরা। পরে সেখান থেকে বিশাল সংখ্যক বাম কর্মী-সমর্থক মিছিল করে যাদবপুর স্টেশনে পৌঁছান। প্রথমে তাঁরা ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অবস্থান নেন, পরে চলে যান ২ নম্বরে। সেখানে ওঠে জোরাল স্লোগান।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/09/jadavpur-2025-07-09-09-46-20.jpg)
বামপন্থী শ্রমিক সংগঠনগুলির দাবি, বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার ন্যূনতম মজুরি সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। উপরন্তু, শ্রমিকদের স্বার্থবিরোধী নতুন শ্রম কোড চালু করে দিয়েছে। ধর্মঘটীদের সাফ কথা, এই নতুন কোড অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সঙ্গে প্রতিদিনের কাজের জন্য ৬০০ টাকা এবং ন্যূনতম মাসিক বেতন ২৬,০০০ টাকা নিশ্চিত করতে হবে।
অন্যদিকে, এই বনধ ঘিরে যাতে পরিস্থিতি হাতের বাইরে না যায়, তার জন্য সকাল থেকেই তৎপর ছিল পুলিশ প্রশাসন। বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী। কোথাও কোথাও বাম কর্মীদের হটাতে দেখা যায় পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নিতে।
রাজ্যের একাধিক জায়গায় যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিবেশ, তাতে বোঝা যাচ্ছে এই ধর্মঘট ছিল নিছক একদিনের আন্দোলন নয়, বরং কেন্দ্রের শ্রমনীতি নিয়ে জমে থাকা ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us