/anm-bengali/media/media_files/2025/09/20/chandranath-singha-2025-09-20-11-27-11.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার ভাগ্য নির্ধারণ হবে আজ, শনিবার। তাঁর জামিন বহাল থাকবে কি না, নাকি এবার তাঁকে হেফাজতে নেবে ইডি—সেই সিদ্ধান্ত জানাবে বিশেষ ইডি আদালত। আদালতের শুনানির আগে চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে আরও নতুন অভিযোগ তুলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ, মন্ত্রীর স্ত্রীকে সামনে রেখে একের পর এক নির্মাণ ব্যবসা খোলা হলেও, আসলে সবই নিয়ন্ত্রণ করতেন চন্দ্রনাথ নিজে।
ইডির দাবি, বিকে কনস্ট্রাকশন নামে একটি সংস্থায় মন্ত্রীর স্ত্রী ছিলেন অর্ধেক অংশীদার। কিন্তু সংস্থার অপর পার্টনারের বক্তব্য, এই কোম্পানির কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই নেই, কোনও ব্যবসাও করেনি। অথচ হিসেবপত্রে দেখানো হয়েছে, ৫ ডেসিমেল জমি ৭ লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছে। এমনকি ওই ৭ লক্ষ টাকা আবার বিনিয়োগ করা হয়েছে বিকে কনস্ট্রাকশনে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/28/arrested-a-2025-07-28-18-53-37.jpg)
এতেই শেষ নয়। অভিযোগ আরও গুরুতর। মন্ত্রীর স্ত্রী কেবিপি রিয়েলটি নামের এক সংস্থার সঙ্গে মিলে ছয়তলা একটি আবাসন গড়েন। পরে সেই ফ্ল্যাট বিক্রি করে ২ কোটি ৭২ লক্ষ টাকার লাভ হয়েছে বলে দাবি তাঁর। এছাড়া ইলামবাজারে আট হাজার বর্গফুট জায়গা মলের জন্য ভাড়া দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ আয় করেছেন। ইডির বক্তব্য, এসব ব্যবসা কাগজে কলমে স্ত্রীর নামে হলেও, আসলে সবকিছুই সামলাতেন চন্দ্রনাথ সিনহা। এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে, জমি কেনা-বেচা ও আবাসন ব্যবসার টাকার সঙ্গে দুর্নীতির কোনও যোগ আছে কি না।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও চন্দ্রনাথ সিনহার নাম জড়িয়েছে। চলতি বছরের মার্চে বোলপুরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। সেখান থেকে নগদ ৪০ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই মামলায় ইডি ইতিমধ্যেই চার্জশিটও জমা দিয়েছে। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর বিশেষ ইডি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তিনি জামিন পান। আদালতে চন্দ্রনাথ দাবি করেছিলেন, তাঁর মূল আয় কৃষি থেকে আসে। সেই বক্তব্য যাচাই করতে গতকাল বীরভূমের পাইকরের কৃষি দফতরে গিয়ে ইডি কর্মকর্তারা একাধিক নথি সংগ্রহ করেছেন।
এখন সবার চোখ আদালতের দিকে। আজ, ২০ সেপ্টেম্বরের শুনানিতে সিদ্ধান্ত হবে—চন্দ্রনাথ সিনহা জামিনে মুক্ত থাকবেন, নাকি তাঁকে হেফাজতে নেবে ইডি।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us