এসআইআর-এর কাজের চাপে মৃত্যু—সরাসরি মুখোমুখি চান বিএলওরা, মনোজ আগরওয়াল না এলে ধরনা চলবে

সিইও দফতরের সামনে বিএলও অধিকার মঞ্চের লাগাতার বিক্ষোভে উত্তেজনা। অতিরিক্ত কাজের চাপ, এসআইআর সংক্রান্ত অভিযোগ এবং শোকজের হুমকি নিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনার দাবি। রাতভর ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
breaking new 1

নিজস্ব সংবাদদাতা:  সিইও দফতরের সামনে সোমবার রাত থেকে টানটান উত্তেজনা। নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে অনড় অবস্থানে বিএলও অধিকার মঞ্চের সদস্যরা জানিয়ে দিয়েছেন—মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজ আগরওয়াল সরাসরি আলোচনায় না এলে ধরনা উঠবে না। অতিরিক্ত কাজের চাপ, এসআইআর প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিক দায়িত্ববৃদ্ধি এবং একাধিক বিএলও-র মৃত্যুর অভিযোগ সামনে এনে তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সন্ধ্যা গড়িয়ে মধ্যরাত্রি—একটানা আন্দোলনেই বসে রইলেন তাঁরা।

বিকেল থেকেই সিইও দফতরের বাইরে বসে স্লোগান দিতে থাকেন বিএলও-রা। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তাঁদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই দু’জন বিএলও—তনুশ্রী মোদক ও সাহিফুল্লা হালদারকে ফোন করে শোকজের হুমকি দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনকারীর কথায়, “মনোজ আগরওয়াল আমাদের সঙ্গে দেখা করা এবং ১৩ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা না করা পর্যন্ত আমাদের ধরনা চলবে। কোনও ভাবেই এখান থেকে সরব না।”

blo protest a

বিএলওদের দাবি, রাজ্যের অন্যান্য সমস্ত বিএলওদেরও এই আন্দোলনে সামিল হওয়া উচিত, যাতে নেতৃত্বকে তাঁদের সঙ্গে বসে আলোচনা করতে বাধ্য হতে হয়। কিন্তু আন্দোলনের জেরে সোমবার দুপুরেই দফতরের সামনে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এক আন্দোলনকারী সিইও দফতরের গেটে তালা ঝোলানোর চেষ্টা করতেই পুলিশ বাধা দেয়। শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়।

মধ্যরাতে আন্দোলনকারীরা সিইও মনোজ আগরওয়ালকে ঘেরাও করে। তখনই সেখানে পৌঁছন সজল ঘোষের বাহিনী। খোদ বিজেপি নেতা সজল ঘোষ উপস্থিত হয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। উত্তেজনা বাড়তে বাড়তে প্রায় ধুন্ধুমার অবস্থা সৃষ্টি হয়। তবুও ভোর থেকে সিইও দফতরের গেটের সামনে অনড় হয়ে বসে থাকে বিএলও অধিকার মঞ্চ। এখন তাঁদের একটাই দাবি—নির্বাচন কমিশনের সর্বোচ্চ আধিকারিককে সামনে বসিয়ে আলোচনা।