“শিরদাঁড়া বিক্রি হয়নি”—মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে ক্ষোভে ফুঁসছেন BLO-রা!

ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি! চাপে BLO-রা, পাল্টা কড়া বার্তা: “শিরদাঁড়া বিক্রি হয়নি”।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
election commission  a

নিজস্ব সংবাদদাতা: পশ্চিমবঙ্গে শুরু হতে চলেছে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধনের কাজ। বিহারের পর এবার বাংলাও সেই প্রক্রিয়ায় পা ফেলছে। এই কাজে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব যাঁদের উপর—তাঁরা বুথ লেভেল অফিসার বা সংক্ষেপে BLO। আর ঠিক সেই জায়গাতেই শুরু হয়েছে জোর টানাপড়েন। BLO-দের কাজ ঘিরে এবার যেন বাড়ছে রাজনৈতিক চাপ।

সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর এক বক্তব্য ঘিরেই রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রশাসনিক বৈঠকে দাঁড়িয়ে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “পরিষ্কার বলছি, ভোটার তালিকার কাজটা যেন ভাল করে করেন।” মুখ্যমন্ত্রীর এই কড়া বার্তাকে অনেকেই হুঁশিয়ারি হিসেবেই দেখছেন। সরকারি কর্মী মহলের মতে, এটা যেন চাপ দিয়ে ‘নির্দেশ’ জারি করার নামান্তর। ফলে নতুন করে চাপে পড়েছেন BLO-রা।

বেশ কিছু BLO-এর দাবি, ইতিমধ্যেই তাঁদের উপর নানা জায়গা থেকে ‘চোখে চোখ রেখে কাজ করো’ ধরনের চাপ দেওয়া হচ্ছে। একদিকে প্রশাসনিক কর্তাদের প্রত্যক্ষ নজরদারি, অন্যদিকে রাজনৈতিক তৎপরতা—সবমিলিয়ে কার্যত দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে বলে তাঁদের অভিমত।

election commission  s

এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, “আমাদের শিরদাঁড়া এখনও বিক্রি হয়নি। আমরা নিয়ম মেনেই কাজ করব। কোনওরকম রাজনৈতিক প্রভাবে বা ভয় দেখিয়ে আমাদের উপর প্রভাব ফেলা যাবে না।”

তাঁদের আরও দাবি, ভোটার তালিকা সংশোধনের মতো সংবেদনশীল কাজে বারবার রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ হলে, নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে পড়বে। এর প্রভাব পড়তে পারে নির্বাচনের উপরও।

এখন দেখার বিষয়, মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য ঘিরে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা কতদূর গড়ায়। পাশাপাশি, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে BLO-রা কীভাবে নিরপেক্ষতা বজায় রাখেন, তাও ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।