হিরণ ও রুদ্রনীলের লড়াইয়ে অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি! কী নিয়ে দুই অভিনেতার লড়াই

বঙ্গ বিজেপির দুই নেতা হিরণ ও রুদ্রনীলের লড়াইয়ে অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি। রুদ্রনীল অভিযোগ করেন, চিটফান্ডের মালিকের সঙ্গে হিরণের যোগাযোগ রয়েছে। পাল্টা হিরণের দাবি, চোরদের সঙ্গে কাজ করছেন রুদ্রনীল।

New Update
hiran and rudranil.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রুদ্রনীল ঘোষের বিবাদের খবর প্রকাশ্যে এসেছে। তাতেই অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি। দুই জনেই অভিনেতা। দুই জনেই বিজেপির নেতা। কী নিয়ে রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে হিরণ চট্টোপাধ্যায় বিবাদে জড়ালেন, সেই নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

হিরণ ও রুদ্রনীলের বঙ্গ বিজেপিতে দাপট নেহাত কম নয়। নিজের দলের নেতার বিরুদ্ধে কেন রুদ্রনীল ঘোষ সরব হলেন, সেই নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সম্প্রতি বিজেপি নেতা তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, চোরদের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের। রুদ্রনীল ঘোষ চিট ফান্ড মালিকদের সঙ্গে হিরণের যে যোগাযোগ রয়েছে, তা বোঝাতে চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, হিরণ বা রুদ্রনীল দুজনেই একসময়ে তৃণমূলে ছিলেন। সেখান থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। ২০২১ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে তাঁরা বিজেপিতে যোগ দেন।

 

রুদ্রনীলের কটাক্ষের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখান হিরণ। বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রুদ্রনীলের পর পর সিনেমা আসছে। তিনি যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, তাঁরাই রুদ্রনীলকে কাজ দিচ্ছেন। উনি চোরদের সঙ্গে কাজ করছেন। একজন অভিনতা হিসেবে তাঁকে সংসার চালাতে হবে। তাই সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে রুদ্রনীলও চোরদের সঙ্গে যুক্ত বলে পাল্টা কটাক্ষ করেন হিরণ।  এখানেই থেমে থাকেননি খড়্গপুরের বিধায়ক। তিনি বলেন, 'রুদ্রনীল তো বর্তমানে শ্রীকান্ত মোহতার সঙ্গে কাজ করছেন। তিনিও তো চোর।'

পাল্টা রুদ্রনীল ঘোষ বলেন, 'হিরণবাবু মাচো মাস্তানা বলে একটি সিনেমাতে কাজ করেছিলেন বলে শুনেছিলাম। ২০১২-১৩ সালে সম্ভবত হবে। সিনেমাটি রিমেক ফিল্মজের। পরে জানা যায় রিমেক চিটফান্ডের মালিক পিপি তিওয়ারি তাঁকে ৭ থেকে ৮ কোটি টাকা দিয়েছিলেন।'এ মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে হিরণ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'চোর' বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, 'কে কোন টাকায় ছবি করছেন তা অভিনেতার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। এটা পুলিশের কাজ। পুলিশমন্ত্রী তো নিজেই চোর।' অন্যদিকে, শ্রীকান্ত মোহতার প্রসঙ্গে রুদ্রনীল আদালতের দিকে বিষয়টি ঠেলে দিয়েছেন। তিনি বলেন, 'শ্রীকান্ত মোহতা একটি আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। তাঁর একটি প্রযোজনা সংস্থা রয়েছে। তাঁর একটি চ্যানেলও রয়েছে। যা কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন। তিনি যদি চোর হয়, তাহলে সেগুলো কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করছে না কেন।'