/anm-bengali/media/media_files/hkt3Uo1fEF8wrvpDFOaT.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: রাত দশটা পেরিয়ে গেছে অনেকক্ষণ। এখনও স্বাস্থ্যভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেখানে তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। রাতের দিকে জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তীর মতো অভিনেত্রীরা।
প্রসঙ্গত, প্রতীকি ব্রেন নিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকরা করুণাময়ী থেকে স্বাস্থ্যভবন অভিযান করেন। তাঁদের দাবি মানা না হলে, তাঁরা অনির্দিষ্টকালের জন্য এই অবস্থান বিক্ষোভ করবেন, তা তাঁরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে নবান্ন থেকে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে মেল পাঠানো হয়। সেখানে জানানো হয়, জুনিয়র চিকিৎসকদের একটা প্রতিনিধি দল সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন। তবে সেই ডাকে সাড়া দেননি জুনিয়র চিকিৎসকরা। বিকেল ছটার একটু পরে স্বাস্থ্য সচিব ইমেল করে নবান্নে বৈঠকে ডেকে পাঠান। যদিও ইমেলে ছিল, নবান্নের বৈঠক হবে সরকারি উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের কথা কোনও উল্লেখ ছিল না। কিন্তু চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সাড়ে সাতটা পর্যন্ত আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। তারপর তিনি নবান্ন ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন।
নিয়র চিকিৎসকরা পরিসংখ্যান পেশ করেন। সেখানে তাঁরা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার বেহাল দশা পরিষ্কার হয়ে যায়। জুনিয়র চিকিৎসকরা (Junior doctors) সাংবাদিক সম্মেলনে পরিসংখ্যান গত হিসেব তুলে ধরে বলেন, “রাজ্যে মোট সরকারি হাসপাতালের সংখ্যা ২৪৫টি। যার মধ্যে মেডিক্যাল কলেজ ২৬টি। মোট জুনিয়র চিকিৎসকের সংখ্যা ৭ হাজার ৫০০-র বেশি নয়। পশ্চিমবঙ্গে রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের সংখ্যা ৯৩ হাজার। মাত্র কয়েকটি মেডিক্যাল কলেজে যেখানে সিনিয়ররা পরিষেবা দিচ্ছেন, শুধু জুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতি করছেন বলে স্বাস্থ্য পরিষেবা কীভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে?”
/anm-bengali/media/media_files/agbpsHjkczXAnwsxvKtb.jpeg)
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us