“ভোটার তালিকায় নাম, তবুও ডিপোর্ট”—অভিষেকের বিস্ফোরক দাবি, সারা দেশে আলোড়ন

এসআইআর বিরোধী মিছিলে গর্জে উঠলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সাতজন মৃত্যুর অভিযোগ, ডিপোর্ট করা অন্তঃসত্ত্বা মহিলার প্রসঙ্গ তুললেন। দিল্লি মার্চের ঘোষণা। মমতার নেতৃত্বে কলকাতায় তৃণমূলের মেগা মিছিল।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
aaaaaaa

নিজস্ব সংবাদদাতা: তৃণমূলের ডাকে এসআইআর বিরোধী আন্দোলনে মঙ্গলবার কলকাতার রাস্তায় উত্তাল জনসমুদ্র। রেড রোড থেকে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ি—প্রায় সমগ্র শহরজুড়ে মিছিল, নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বুথ লেভেল অফিসাররা ভোটার তালিকা সংশোধনের ফর্ম বিলি শুরু করতেই পাল্টা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের ঝড় তুলল তৃণমূল।

মিছিল শেষে তৃণমূলের যুবনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষোভ উগড়ে দিলেন। তাঁর কড়া বার্তা—“দু’দিনে আমরা এত বড় মিছিল করতে পারি, দু’মাসে দিল্লিতে কী করতে পারি, তা বিজেপির বন্ধুরা ভেবে দেখুক। তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। ২১ জুলাই কংগ্রেসও পরিচয়পত্রের দাবিতে আন্দোলন করেছিল, ১৩ জন শহিদ ছিলেন। আদালত, কেন্দ্রীয় এজেন্সি, ইনকাম ট্যাক্স—সব চাপ সত্ত্বেও মানুষের আশীর্বাদ নিয়েই জিতেছে তৃণমূল।”

অভিষেক অভিযোগ করেন, এসআইআর-র নামে বাংলাকে টার্গেট করছে কেন্দ্র ও নির্বাচন কমিশন। তাঁর কথায়, “নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করার পর গত সাত দিনে সাতজন আত্মহত্যা করেছেন। সবাই ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশি বলে অপবাদ পেয়েছেন। যখন ইচ্ছে যাকে ইচ্ছে বিদেশি বলে চালানো হচ্ছে।”

Large-img-Abhishek-Banerjee
ফাইল চিত্র

তাঁর দাবি আরও গুরুতর—এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও তাঁর পরিবারের ছয় সদস্যকে পর্যন্ত বাংলাদেশি বলে ডিপোর্ট করা হয়েছে। “হাইকোর্টের রায়ে তাঁর মা-বাবার নাম তালিকায় আছে, ২০০২ সালের খসড়া তালিকায় তাঁর নাম আছে। তবুও তাঁকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে।”

অভিষেক ঘোষণা করেন, তৃণমূল শিগগিরই দিল্লি মার্চ করবে এসআইআর-র বিরুদ্ধে। “বাংলার শক্তি কী, সারা দেশকে দেখাব।” তাঁর সুর স্পষ্ট—জনতার ভোটাধিকার রক্ষা করতে তৃণমূল মাঠে নেমেছে, এবার লড়াই হবে রাজধানিতে।

এসআইআর ঘিরে রাজনৈতিক লড়াই এখন চূড়ান্ত তাপে। একদিকে তৃণমূলের রাস্তা দাপিয়ে বার্তা, অন্যদিকে বিজেপিও পাল্টা প্রস্তুত। মেগা মঙ্গলবারে বাংলার রাজনীতির রণতূর্য বেজে গেল—ভোটের হাওয়া এখনই গরম।