সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ হওয়ার আগেই আন্দোলনের রুট ও সেফটি প্ল্যান ছড়িয়েছিল ‘হামি নেপাল’

নেপালের সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ হওয়ার আগেই আন্দোলনের পরিকল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
hami nepal chief


নিজস্ব সংবাদদাতা: নেপালের চলমান তরুণ বিদ্রোহের সামনের সারিতে উঠে এসেছেন মাত্র ৩৬ বছরের এক যুবক—সুদান গুরুং। তিনি যুব-নেতৃত্বাধীন এনজিও ‘হামি নেপাল’-এর সভাপতি, যা এখন আর শুধু একটি সংস্থা নয়, বরং এক বিশাল নাগরিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে।

সুদান গুরুং আগেই ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত করেছিলেন যে, তাঁর সংগঠন আইন মেনে বিক্ষোভের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে। সেই পোস্টে তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে আহ্বান জানান, তারা যেন স্কুল ইউনিফর্ম পরে বই হাতে নিয়ে প্রতিবাদে যোগ দেয়। তাঁর মতে, আন্দোলনকে কেবল ক্ষোভ নয়, বরং শান্তিপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরা জরুরি।

nepal protest

সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ হওয়ার আগে ‘হামি নেপাল’ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আন্দোলনের রুট, সময়সূচি এবং নিরাপত্তা নির্দেশিকা ছড়িয়ে দিত। এর ফলে তরুণরা সংগঠিতভাবে পথে নেমে আসতে পেরেছে, আর আন্দোলন দ্রুত জনসমর্থন লাভ করেছে।

আজ নেপালের রাজপথে যে তরুণ বিদ্রোহের আগুন জ্বলছে, তার পেছনে সুদান গুরুং ও তাঁর সংগঠনই প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বর্তমানে নেপালের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী বিক্ষোভারীদের আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। একাধিক মন্ত্রী বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে মারধর খেয়েছেন বলে অভিযোগ।