ভেনেজুয়েলার দরজায় মার্কিন যুদ্ধবিমান! ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতে বাড়ছে যুদ্ধের আশঙ্কা

মার্কিন F/A-18 যুদ্ধবিমান ভেনেজুয়েলার গাল্‌ফের কাছাকাছি উড়ে যাওয়ায় বাড়ছে উত্তেজনা। ট্রাম্পের ‘মাদুরোর দিন ফুরোচ্ছে’ মন্তব্যে পরিস্থিতি আরও থমথমে। মার্কিন ড্রাগ-কার্টেল অভিযান ও সম্ভাব্য সামরিক তৎপরতা নিয়ে বিশদ তথ্য।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
donald trump venezuala

নিজস্ব সংবাদদাতা: ভেনেজুয়েলার সীমান্ত ঘেঁষে মার্কিন নৌবাহিনীর দুটি F/A-18 ফাইটার জেট টহল দেওয়ায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার গাল্‌ফ অব ভেনেজুয়েলার উপর প্রায় আধঘণ্টা চক্কর দেয় যুদ্ধবিমান দু’টি। এই অঞ্চলটি মাত্র দেড়শো মাইল জুড়ে বিস্তৃত এবং ভেনেজুয়েলার একেবারে সন্নিকটে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর জানিয়েছে, উড়ানটি ছিল নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ এবং বিমান দুটি আন্তর্জাতিক আকাশসীমা ছাড়ায়নি। তবে তারা জেটগুলিতে অস্ত্র ছিল কি না, তা জানাতে অস্বীকার করেছে। দাবি করা হয়েছে, উদ্দেশ্য ‘উস্কানি’ দেওয়া নয়।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র B-52 এবং B-1 বোমারু বিমান পাঠালেও সেগুলি ভেনেজুয়েলার উপকূল থেকে অনেক দূরে ছিল। এবার এত কাছাকাছি মার্কিন যুদ্ধবিমান দেখা যাওয়াটি বহু বছরের মধ্যে প্রথম।

এদিকে গোটা অঞ্চলে আমেরিকা তাদের সবচেয়ে বড় সামরিক উপস্থিতি গড়ে তুলছে। পাশাপাশি ক্যারিবিয়ান ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে সন্দেহভাজন ড্রাগ-স্মাগলিং বোটে ধারাবাহিক প্রাণঘাতী হামলা চালাচ্ছে। সেপ্টেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ২২টি হামলায় ৮৭ জন নিহত হয়েছে। দু'জন আহতকে ফের টার্গেট করে দ্বিতীয় হামলা চালানোর ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে, যা নিয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতারা তদন্ত দাবি করেছেন।

donald trump dance

মঙ্গলবার প্রতিরক্ষা সচিব পিট হেগসেথ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও কংগ্রেসকে এই কর্মকাণ্ডের রিপোর্ট দেন। কংগ্রেস সদস্যরা হামলার সম্পূর্ণ ভিডিয়ো চাইলেও তা প্রকাশ করবেন কি না, এখনও সিদ্ধান্ত নেননি হেগসেথ।

ডোনাল্ড ট্রাম্প এই অপারেশনকে সমর্থন করে বলেছেন, ড্রাগ কার্টেলের বিরুদ্ধে “সশস্ত্র সংঘাত”-এ নেমেছে আমেরিকা এবং প্রয়োজনে স্থল বাহিনীও পাঠানো হতে পারে। তবে কবে, কীভাবে—তা নিয়ে বিস্তারিত জানাননি। এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প আরও বলেন, ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর “দিন এখন গোনা শুরু হয়েছে”। তিনি স্থল হামলার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ওয়াশিংটন ও কারাকাসের সম্পর্কে তীব্র টানাপোড়েন চলছে। মার্কিন সামরিক তৎপরতা এবং ট্রাম্পের নতুন মন্তব্যে পরিস্থিতি আরও অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।