/anm-bengali/media/media_files/2025/10/07/gaza-2025-10-07-19-41-58.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: জাতিসংঘের একটি নতুন ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন রিপোর্টে ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে— যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকা থেকে সমস্ত ধ্বংসাবশেষ সরাতে অন্তত আরও ১০ বছর সময় লাগবে, আর জমির উর্বরতা ফিরিয়ে আনতে লাগবে ২৫ বছরেরও বেশি সময়।
দুই বছরের দীর্ঘ যুদ্ধ গাজাকে এক ভয়াবহ ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। ৮০ শতাংশ ভবন সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে, আর এর ফলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এই বিপুল ধ্বংসে গাজার নগরজীবন একেবারে থমকে গেছে— বাড়ি নেই, আশ্রয় নেই, পানীয় জল ও চিকিৎসার মতো মৌলিক পরিষেবাগুলোও এখন প্রায় অদৃশ্য। ফলে পুনর্গঠন বা পুনরুদ্ধার এখন বিশাল এক চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জন্য।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিপুল পরিমাণ ধ্বংসাবশেষ সরানোই এখন সবচেয়ে বড় বাধা। যুদ্ধের কারণে যন্ত্রপাতি, নির্মাণ সামগ্রী ও মানবিক সহায়তা পৌঁছানোও প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও নিরাপত্তাহীনতা পুরো পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে আরও ধীর করে দিচ্ছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/05/19/1000207315-406115.jpg)
কিন্তু শুধু ভবন নয়, গাজার কৃষিক্ষেত্রও ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১৫,০০০ হেক্টর উর্বর জমির মধ্যে মাত্র ২৩২ হেক্টর এখন চাষযোগ্য, অর্থাৎ প্রায় ৯৮.৫ শতাংশ কৃষিজমি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ্যা হয়ে গেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই কৃষি ধ্বংস গাজার দীর্ঘমেয়াদি খাদ্য নিরাপত্তাকে ভয়াবহভাবে হুমকির মুখে ফেলেছে, এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবিকা এখন ঝুলছে অনিশ্চয়তার মধ্যে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে — “গাজার জমি শুধু যুদ্ধের ক্ষতিই বহন করছে না, এটি এখন মানবিক বিপর্যয়ের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুনরুদ্ধার করতে হবে প্রজন্ম ধরে।” যুদ্ধের তৃতীয় বছরে প্রবেশ করলেও, শান্তির কোনো লক্ষণ নেই। বরং ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে এক গোটা প্রজন্মের ভবিষ্যৎ।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us