/anm-bengali/media/media_files/2025/05/14/lsbWyXYU4WHopwY3pNR8.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে চার দিনের সামরিক সংঘর্ষে পাকিস্তানকে সক্রিয়ভাবে সাহায্য করেছে তুরস্ক। সূত্র মারফত জানা গেছে, পাকিস্তানকে শুধু ড্রোন সরবরাহ করেই থেমে থাকেনি তুরস্ক, তারা নিজেদের সামরিক আধিকারিকও পাঠিয়েছিল ইসলামাবাদে, যারা সরাসরি ভারতের বিরুদ্ধে চালানো ড্রোন হামলা পরিচালনায় সাহায্য করেছিল।
অপারেশন সিঁদুর চলাকালীন তুরস্কের দুই সামরিক কর্মীর মৃত্যু হয় বলেও জানা গেছে। সূত্র অনুযায়ী, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে ভারতের লক্ষ্যবস্তু চিহ্নিত করতে এবং কৌশলগতভাবে ড্রোন ব্যবহার করতে সাহায্য করছিল তুরস্কের সামরিক পরামর্শদাতারা। পাকিস্তান এ বিষয়ে কোনও প্রকাশ্য ঘোষণা না করলেও, গোপনে তুরস্ক থেকে প্রায় ৩৫০টির বেশি ড্রোন সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
/anm-bengali/media/media_files/2025/05/14/B3zOw56235ec8NHPD6JQ.jpg)
এই ড্রোনগুলোর মধ্যে রয়েছে Bayraktar TB2 এবং YIHA মডেল, যেগুলি নজরদারি, টার্গেটিং ও ‘কামিকাজে স্ট্রাইক’-এর জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের সীমান্তবর্তী অবস্থান ও রসদ বহনকারী কনভয়গুলিকে লক্ষ্য করে তুরস্কের এই ড্রোনগুলোকে ব্যবহার করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তুরস্ক ও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক গত কয়েক বছরে উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তুরস্ক শুধু অস্ত্র সরবরাহ করেই থেমে থাকেনি, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জন্য প্রশিক্ষণও দিয়েছে। এই পরিস্থিতি দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক ও নিরাপত্তা ভারসাম্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত সরকার যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তুরস্কের বিরুদ্ধে কোনো মন্তব্য করেনি, তবে গোয়েন্দা রিপোর্ট ও প্রতিরক্ষা সূত্রে পাওয়া তথ্য ভবিষ্যতের কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us