/anm-bengali/media/media_files/2025/12/01/two-friend-2025-12-01-00-24-27.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: “একদিন এমন এআই আসবেই, যা মানুষের থেকেও বেশি বুদ্ধিমান হবে। আমরা যদি সেটা না বানাই, কেউ না কেউ বানাবে। তাই আমরা চাই প্রথম হতে,” সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনই মন্তব্য করেছেন উইলিয়াম চেন। তিনি ও তাঁর বন্ধু গুয়ান ওয়াং দু’জনেই আমেরিকার মিশিগানের বাসিন্দা। ছোটবেলার বন্ধু এই দু’জনই গড়ে তুলেছেন নতুন এআই সংস্থা স্পাইনেট ইন্টেলিজেন্স। হাই স্কুলের বন্ধুত্ব থেকেই তাঁদের এই যুগান্তকারী সফরের শুরু। পরে দু’জন একসঙ্গে পড়তে যান বেজিংয়ের Tsinghua University-এ। শুরুতে পড়াশোনার চাপ তাঁদের বেশ বিপাকে ফেললেও ধীরে ধীরে অধ্যাপকদের সমর্থন পেয়ে বড় লক্ষ্য নিয়ে এগোতে থাকেন তাঁরা।
এআই গবেষণার প্রথম বড় সাফল্য আসে ‘ওপেনচ্যাট’ নামে একটি ছোট ভাষাভিত্তিক মডেল তৈরি করে। এই মডেল এতটাই জনপ্রিয় হয় যে তা নজর কেড়ে নেয় বিশ্বের ধনীতম উদ্যোক্তা এলন মাস্কের। তাঁর সংস্থার তরফে বহু টাকার অফার এলেও সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন চেন ও ওয়াং। এরপরই পুরোপুরি নিজেদের সংস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। নতুন যে এআই ব্যবস্থা তাঁরা তৈরি করেছেন, তার নাম হায়ারার্কিক্যাল রিজনিং মডেল বা এইচআরএম। মাত্র ২৭ মিলিয়ন প্যারামিটার থাকা এই মডেল ইতিমধ্যেই বড় বড় সংস্থার এআই সিস্টেমকে পিছনে ফেলেছে জটিল ধাঁধা, সুডোকু ও কঠিন সমস্যা সমাধানে। চেনের কথায়, “এটা আন্দাজে নয়, সত্যিই চিন্তা করে।”
সংস্থার দাবি, এই নতুন এআই বর্তমান ভাষা-নির্ভর এআই-এর তুলনায় অনেক কম ভুল তথ্য তৈরি করে এবং আবহাওয়া পূর্বাভাস, শেয়ার বাজার বিশ্লেষণ থেকে শুরু করে চিকিৎসা পর্যবেক্ষণের মতো কাজেও সমান দক্ষ। খুব শিগগিরই আমেরিকায় নতুন অফিস খোলার প্রস্তুতিও চলছে। চেন ও ওয়াংয়ের বিশ্বাস, তাঁদের এই কাজই ভবিষ্যতের সাধারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে বড় এক ধাপ।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us