ট্রাম্প বনাম হার্ভার্ড! ইহুদি ছাত্রদের নিরাপত্তা ঘিরে ফেডারেল অনুদান বন্ধ—আকাশছোঁয়া বিতর্ক!

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ইহুদি ছাত্র-ছাত্রীরা বর্ণবিদ্বেষীর শিকার হচ্ছেন বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
Harvard University

নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির বিরুদ্ধে ফেডারেল সিভিল রাইটস আইন লঙ্ঘনের গুরুতর অভিযোগ এনেছে। অভিযোগ, ইহুদি ও ইজরায়েলি ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে হওয়া বৈষম্য ও হয়রানির ঘটনাগুলিকে যথাযথ গুরুত্ব না দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ "ইচ্ছাকৃতভাবে উদাসীনতা" দেখিয়েছে।

একটি ফেডারেল তদন্তের পর এই অভিযোগ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে এসেছে। ওই তদন্তে উঠে এসেছে, হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে ইহুদিবিদ্বেষমূলক আচরণের একাধিক অভিযোগ ছিল, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই ঘটনাগুলি মোকাবিলায় কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

তবে এই পদক্ষেপকে অনেকেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন। হার্ভার্ডের কিছু অধ্যাপক, নাগরিক অধিকার সংগঠন এবং শিক্ষাবিদদের মতে, এই অভিযোগ আসলে একটি বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ—যার মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ট্রাম্প প্রশাসন হার্ভার্ডের বিরুদ্ধে আরও এক ধাপ কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে—ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২.৫ বিলিয়ন ডলারের ফেডারেল অনুদান স্থগিত রাখা হয়েছে। এই বিপুল অর্থ গবেষণা ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল।

trump

হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ নেতৃত্বের কণ্ঠে শোনা যাচ্ছে গভীর উদ্বেগের সুর। তাদের মতে, এই ধরনের হস্তক্ষেপ শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা নয়, একাডেমিক স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা এবং জরুরি বৈজ্ঞানিক গবেষণার ওপর সরাসরি আঘাত হানে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ফেডারেল তদন্তের ফলাফল খতিয়ে দেখছে এবং উপযুক্ত প্রতিক্রিয়া জানাবে। তবে পুরো বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চশিক্ষা জগতে একটি নয়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।