আকাশপথে হামলা, জ্বলছে সীমান্ত! থাইল্যান্ডের বিমান আঘাতে তেতে উঠল কম্বোডিয়া

থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তে ফের গুলি-বিনিময়ে আট জনের মৃত্যু। থাই বিমান বাহিনীর কম্বোডিয়ার অভ্যন্তরে হামলার অভিযোগে উত্তেজনা চরমে।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
breaking new 1

নিজস্ব সংবাদদাতা:  থাইল্যান্ড–কম্বোডিয়া সীমান্তে ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে। দুই দেশের গুলি-বিনিময়ে এখনও পর্যন্ত অন্তত আট জনের মৃত্যু হয়েছে এবং বহু মানুষ আহত। ক্রমশ বাড়তে থাকা উত্তেজনার মধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুই দেশকে সংযম দেখাতে এবং আগের অস্ত্রবিরতির চুক্তিতে ফিরতে আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, শান্তি ও স্থিরতা ফিরিয়ে আনতে জাতিসংঘ সব রকম সহায়তা করতে প্রস্তুত।

থাইল্যান্ডের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, সীমান্তে আঘাতের জবাবে থাই বিমান বাহিনী কম্বোডিয়ার ভেতরে বেশ কিছু সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। সীমান্ত সংলগ্ন গ্রামগুলোতে থাই প্রশাসন বাসিন্দাদের বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলেছে।

৯ ডিসেম্বর কম্বোডিয়ার বিদেশ মন্ত্রক তড়িঘড়ি ৩০ জন বিদেশি কূটনীতিক ও তিনটি আন্তর্জাতিক সংস্থাকে ডেকে পাঠায়। সেখানে থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে চুক্তি ভেঙে হামলা চালানোর অভিযোগ তুলে ধরা হয়। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হন সেন জানান, “কম্বোডিয়া শান্তি চায়। কিন্তু নিজের ভূমি রক্ষায় লড়াই করতে বাধ্য হচ্ছে।”

thailand combodia

নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হল এমন সময়, যখন কয়েক সপ্তাহ আগেই দুই দেশের মধ্যে কুয়ালালামপুরে হওয়া শান্তি চুক্তি নিয়ে আশার আলো দেখা গিয়েছিল। কিন্তু নভেম্বরেই থাই সেনার দুই সদস্য মাইন বিস্ফোরণে জখম হওয়ার পর সেই চুক্তি স্থগিত করে থাইল্যান্ড।

গত দু’দিনে থাই সেনার গুলিতে সাত জন কম্বোডিয় নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছে কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। অন্যদিকে ব্যাংকক পোস্ট জানিয়েছে, সংঘর্ষে থাইল্যান্ডের এক সেনা নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ১৮ জন আহত।

এক্স-এ গুতেরেস লিখেছেন, “কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষের খবর উদ্বেগজনক। দুই পক্ষকে অনুরোধ করছি উত্তেজনা না বাড়িয়ে সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার স্থায়ী সমাধানে এগিয়ে আসতে।”