নিজের বাবাকে মেরে কাটা মাথার ভিডিও ইউটিউবে! আদালতে শিউরে ওঠার মতো স্বীকারোক্তি দিল ছেলে

নিজের বাবার মাথা কেটে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ছেলের।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
merica

নিজস্ব সংবাদদাতা: আমেরিকার পেনসিলভানিয়ার লেভিটাউনের এক ভয়ংকর খুনের ঘটনায় আদালতের রায়ে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে ৩৩ বছর বয়সী জাস্টিন ডি মোহন। নিজের বাবাকে নির্মমভাবে হত্যা ও শিরশ্ছেদ করে সেই মর্মান্তিক দৃশ্য ইউটিউবে আপলোড করার অপরাধে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যেখানে কোনো ধরনের প্যারোল বা মুক্তির সুযোগ থাকবে না।

ঘটনাটি ঘটেছিল গত বছর। অভিযুক্ত জাস্টিন মোহন তার ৬৮ বছর বয়সী বাবা মাইকেল মোহনকে তাদের নিজ বাড়িতে গুলি করে হত্যা করে। এরপর নিজের মোবাইল ফোনে বাবার কাটা মাথার একটি ১৪ মিনিট দীর্ঘ ভিডিও ধারণ করে, যা সে পরে ইউটিউবে আপলোড করে।

বাক্স কাউন্টির বিচারক স্টিফেন এ. কর শুক্রবার রায় ঘোষণা করেন। তার আগের দিন, বৃহস্পতিবার, আদালতে দাঁড়িয়ে মোহন নিজেই সমস্ত হত্যাকাণ্ডের ভয়ানক বর্ণনা দেন।

আদালতে জাস্টিন দাবি করে, সে এই ভিডিও বানিয়েছিল ‘রাজনৈতিক বার্তা’ ছড়ানোর উদ্দেশ্যে। তার মতে, একটি কাটা মাথার ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়লে তা যেমন ভাইরাল হয়, তেমনি সমাজে সহিংসতা কমাতেও সহায়তা করতে পারে।

dead

জাস্টিন বলেন, “আমি জানতাম, একটি কাটা মাথার ভিডিও না দেখলে মানুষ সিরিয়াস হবে না। আমি চাইছিলাম সহিংসতা থামুক, আর তার জন্যই এই ভিডিও বানিয়েছিলাম।”

এই বক্তব্য শোনার সময় আদালতে উপস্থিত জাস্টিনের মা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ইউটিউব কর্তৃপক্ষ ভিডিওটি কয়েক ঘণ্টা পর সরিয়ে নেয়। তবে তার আগেই ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

এই নৃশংস ঘটনায় শুধু একটি পরিবার নয়, পুরো কমিউনিটিই হতবাক ও স্তব্ধ হয়ে পড়েছে।