মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে গলা কেটে খুন! রংপুরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে তীব্র আতঙ্ক—কারা পিছনে?

রংপুরে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বাড়ছে বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে রাজনৈতিক মহল।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
bangladesh


নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশের রংপুরে আবারও ভয়ানক নৃশংসতার ঘটনা সামনে এল। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া যোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় এবং তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে বাড়ির ভিতর গলা কেটে খুন অবস্থায় পাওয়া গেছে। রবিবার সকালে বারবার দরজায় ডাকলেও কোনও সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পান। পরে পুলিশ এসে দু’জনের নিথর দেহ উদ্ধার করে। নিহত দম্পতির দুই ছেলে বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত বলে জানা গেছে।

এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে আতঙ্ক আরও বেড়েছে কারণ গত এক বছরে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন মুহাম্মদ ইউনুসের শাসনামলে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়কে লক্ষ্য করে হামলার ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। ২০২4 সালের জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের আন্দোলনে বাংলাদেশ পুলিশের ওপর ভয়াবহ হামলা হয়। বহু পুলিশ সদস্যকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়, অনেকেই নিখোঁজ হন। এখনও পর্যন্ত পুরো পুলিশ বাহিনী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেনি বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা যাচ্ছে।

Murder

সংখ্যালঘু অধিকার সংগঠনগুলির হিসাব বলছে, শেখ হাসিনা অপসারিত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশজুড়ে হাজারের বেশি সাম্প্রদায়িক আক্রমণ ঘটেছে। যদিও মুহাম্মদ ইউনুস এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, এসব “অতিরঞ্জিত প্রচার”।

ঘটনা নিয়ে নির্বাসিত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ আলী আরাফাত উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা বেড়ে যাওয়া অত্যন্ত বিপজ্জনক সংকেত। তাঁর অভিযোগ, জামায়াতে ইসলামী এবং অন্য মুক্তিযুদ্ধ-বিরোধী গোষ্ঠীর সমর্থনে ইউনুসের শাসনামলে এমন আক্রমণ আরও বাড়ছে।