ধর্মীয় বৈষম্যের নজির? ২০২৬ থেকে পাকিস্তানে একা শিয়াদের তীর্থযাত্রায় ‘নো এন্ট্রি’

২০২৬ সাল থেকে কোনও পাকিস্তানি শিয়া মুসলমান একা ইরাকে যেতে পারবেন না।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
pakistan shia a

নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে পাকিস্তানে একা শিয়া মুসলিমদের ইরাক সফরে কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি হতে চলেছে। ধর্মীয় তীর্থযাত্রার নামে ইরাকে যাত্রা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এই বিতর্কিত পদক্ষেপের কথা পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি নিজেই ঘোষণা করেছেন। তিনি ইরান ও ইরাকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

প্রতি বছর হাজার হাজার পাকিস্তানি শিয়া মুসলমান ইরান ও ইরাকের পবিত্র স্থানে জিয়ারতের উদ্দেশে তীর্থযাত্রা করেন। তবে অনেকেই ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও দেশে ফেরেন না, যা একাধিক আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে দাবি প্রশাসনের।

pakistan shia

নতুন নীতিমালায় একা শিয়া যাত্রীদের ইরাক যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হলেও, এর প্রভাব বহুজনের ওপর পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে সেই সব তীর্থযাত্রীদের ওপর, যারা আগে ইরানে জিয়ারত সেরে ইরাকের কারবালা, নাজাফের মতো পবিত্র শহরে যান।

ইরাকের প্রায় ২১.৫ মিলিয়ন মানুষ ২০২৪ সালে পবিত্র স্থানগুলিতে গিয়েছেন বলে পরিসংখ্যান জানাচ্ছে। এর মধ্যে একটি বড় অংশই পাকিস্তান থেকে আগত শিয়া মুসলমান। কিন্তু পাকিস্তান যেহেতু একটি সুন্নি-প্রধান দেশ, তাই শিয়া সম্প্রদায় বহুদিন ধরেই বৈষম্য ও ধর্মীয় সহিংসতার শিকার। তাই একা শিয়াদের ওপর এই নিষেধাজ্ঞাকে অনেকেই দেখছেন চাপিয়ে দেওয়া ধর্মীয় দমনপীড়ন হিসেবে।