নিজস্ব সংবাদদাতা: এক নজিরবিহীন পদক্ষেপে, প্রথমবারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি করতে চলেছে পাকিস্তান। জানা গেছে, হিউস্টন থেকে রওনা দেওয়া একটি কার্গো অক্টোবরে করাচি বন্দরে পৌঁছনোর কথা। এই চুক্তি ঘিরে কূটনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি এই চুক্তির ঘোষণা করেন এবং দাবি করেন, পাকিস্তানে “বিশাল তেলের ভাণ্ডার” আবিষ্কৃত হয়েছে, যা উন্নয়নের জন্য মার্কিন সংস্থাগুলির সহায়তায় কাজে লাগানো হবে। এই রফতানি চুক্তিতে মূল ভুমিকা নিচ্ছে Synergico এবং Witol নামে দুটি সংস্থা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পদক্ষেপ শুধু বাণিজ্য নয়— বরং মার্কিন আধিপত্য বিস্তারের এক কৌশলগত চিত্র। হোয়াইট হাউস সূত্রের দাবি, “এই চুক্তি শুধু পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক যোগসূত্র গড়ে তোলার বিষয় নয়, এটি আমেরিকার প্রভাব প্রতিষ্ঠারও প্রতীক।”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/08/01/karachi-port-s-2025-08-01-18-57-42.jpg)
এই সময়ে যখন ট্রাম্প-মোদি জুটির নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ভারত-মার্কিন সম্পর্ক নানা চাপের মুখে, তখন পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকার এমন ঐতিহাসিক চুক্তি এক বড় কূটনৈতিক ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা। ভারত নিজের কৌশলগত অবস্থানে স্বাধীনতা বজায় রাখতে চাইলেও, মার্কিন প্রত্যাশার সঙ্গে সেই দৃষ্টিভঙ্গির যে বিরোধ রয়েছে, তা নতুন করে প্রকাশ্যে এল।
এই রফতানি ও বিনিয়োগ চুক্তি কেবল জ্বালানির গন্ধ নয়, আঞ্চলিক কূটনীতির উত্তাপও নিয়ে এসেছে। প্রশ্ন উঠছে— তবে কি এবার দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষমতার পালাবদল দেখতে চলেছে বিশ্ব?
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us