পাকিস্তানের প্রাক্তন গুপ্তচর প্রধান ফয়েজ হামিদের পতন! ১৪ বছরের কারাদণ্ডে নড়ে উঠল ইসলামাবাদ

পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পাইমাস্টার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড, ক্ষমতার অপব্যবহার ও রাষ্ট্রীয় গোপন নথি লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৪ বছরের কঠোর কারাদণ্ড। সেনা আদালতের নজিরবিহীন রায় ঘিরে তীব্র আলোড়ন।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
former isi chief

নিজস্ব সংবাদদাতা:  পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রাক্তন শীর্ষ গুপ্তচর আধিকারিক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ফয়েজ হামিদকে ১৪ বছরের কঠোর কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে ফিল্ড জেনারেল কোর্ট মার্শাল। বৃহস্পতিবার এই খবর জানায় দেশটির সেনাবাহিনীর জনসংযোগ দফতর আইএসপিআর। পাকিস্তানের আধুনিক রাজনৈতিক ও সামরিক ইতিহাসে এমন শাস্তি আগে কখনও দেখা যায়নি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আইএসপিআর জানিয়েছে, সেনা আদালত ফয়েজ হামিদকে একাধিক গুরুতর অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছে। অভিযোগগুলির মধ্যে ছিল রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার ক্ষতিসাধন করে সরকারি গোপন নথি লঙ্ঘন, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সরকারি সম্পদের ভুল ব্যবহার। কারও ব্যক্তিগত ক্ষতি করার অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

২০২4 সালের ১২ আগস্ট পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্ট অনুযায়ী এই মামলার শুনানি শুরু হয়। গত ১৫ মাস ধরে চলা বিচারপর্বে দীর্ঘ জেরা, প্রমাণ সংগ্রহ এবং সাক্ষ্যগ্রহণের পর আদালত বুধবার রায় ঘোষণা করে। ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয় ফয়েজ হামিদের ১৪ বছরের কঠোর কারাদণ্ড।

former isi chief pakistan

সেনা দফতর জানায়, সমস্ত আইনগত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছিল ফয়েজ হামিদকে। তিনি নিজের পছন্দমতো আইনজীবী নিয়োগ করেছিলেন এবং গোটা বিচারপর্বে আত্মপক্ষ সমর্থনের পূর্ণ অধিকার পেয়েছিলেন। রায় ঘোষণার পরও তার সামনে উচ্চতর কর্তৃপক্ষের কাছে আপিল করার সুযোগ থাকছে।

এই রায় পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র আলোড়ন তুলেছে। দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত ফয়েজ হামিদের এই পতন দেশটির ক্ষমতার বলয়ে বড় সংকেত দিচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।