/anm-bengali/media/media_files/2025/10/12/jawaed-habib-2025-10-12-22-31-08.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশজুড়ে আলোচনায় এখন সেলিব্রিটি হেয়ার স্টাইলিস্ট জাওয়েদ হাবিব। একটার পর একটা অভিযোগ উঠছে তার বিরুদ্ধে। পুলিশের দাবি— কোটি টাকার প্রতারণার জাল বুনেছিলেন হাবিব এবং তার পরিবার। ১০০-রও বেশি বিনিয়োগকারীকে মোটা অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ। শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশের সম্ভল জেলাতেই হাবিব ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে ৩২টি এফআইআর।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ২০২৩ সালে সম্ভলের সারায়াতেন এলাকায় এক অনুষ্ঠানে জাওয়েদ হাবিব ও তাঁর ছেলে আনাস একটি বিশেষ বিনিয়োগ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। "ফলিকল গ্লোবাল কোম্পানি" (FLC) নামের সেই সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, বিটকয়েন ও বিনান্স কয়েনে বিনিয়োগ করলে ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা দেওয়া হবে। উপস্থিত প্রায় ১৫০ জন বিনিয়োগকারী এই প্রলোভনে পা দিয়ে প্রত্যেকে ৫ থেকে ৭ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেন, কেউ কেউ আরও বেশি। কিন্তু এক বছর কেটে গেলেও কেউ কোনও রিটার্ন পাননি।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/8u3IilkiHS3W1ASSQaqY.jpeg)
ক্ষুব্ধ বিনিয়োগকারীরা যখন পুলিশে অভিযোগ জানান, তখনই জানা যায় কোম্পানির অফিস বন্ধ হয়ে গেছে, হাবিব পরিবারও উধাও। পুলিশি তদন্তে দেখা যায়, প্রতারণার মোট অঙ্ক দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা! সম্ভল জেলার পুলিশ সুপার কৃষ্ণ কুমার বিষ্ণোই জানিয়েছেন, “প্রতি বিনিয়োগকারীর কাছ থেকে তারা ৫-৭ লক্ষ টাকা নিয়েছিল। উচ্চ মুনাফার প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা নিয়ে তারা উধাও হয়ে যায়। আজ পর্যন্ত কারও টাকা ফেরত দেওয়া হয়নি।”
জাওয়েদ হাবিবের আইনজীবী পাওন কুমার রবিবার সম্ভল থানায় গিয়ে তাঁর শারীরিক অসুস্থতার মেডিক্যাল রিপোর্ট জমা দেন। তবে এখনো পর্যন্ত হাবিব বা তাঁর পরিবারের কারও তরফে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং তাঁদের দেশ ছাড়ার পথ বন্ধ করতে ইতিমধ্যেই একটি লুক-আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় দেশজুড়ে হইচই পড়েছে। সৌন্দর্য জগতের তারকার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সাধারণ মানুষ থেকে অনুরাগীদের মধ্যে হতবাক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। রঙিন আলোয় মঞ্চে যিনি পরিচিত ছিলেন চুল কাটার মাস্টার হিসেবে, তিনিই এখন পুলিশি নথিতে কোটি টাকার প্রতারণার অভিযুক্ত।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us