/anm-bengali/media/media_files/2025/10/11/bipin-joshi-2025-10-11-12-20-32.png)
নিজস্ব সংবাদাতা: গাজার যুদ্ধবিদ্ধস্ত প্রেক্ষাপটে অবশেষে এক টুকরো আশার আলো দেখতে পাচ্ছে বিপিন জোশীর পরিবার। মাত্র ২৩ বছর বয়সী এই নেপালি তরুণ ছিলেন ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে একটি কৃষি প্রশিক্ষণ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। হামাসের ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের আকস্মিক হামলার সময় তাঁকে বন্দি করা হয়েছিল। শতাধিক বন্দির মধ্যে তিনিই একমাত্র হিন্দু।
দুই বছর কেটে গেলেও তাঁর খোঁজ মেলেনি—তবু সম্প্রতি ইসরাইলি সেনা কর্তৃপক্ষের প্রকাশ করা একটি ভিডিও তাঁর পরিবারে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে। ভিডিওটি গাজার অভ্যন্তর থেকে আসায় মনে করা হচ্ছে, হামাস এখনো কিছু বন্দিকে জীবিত রেখেছে।
শেষ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কূটনৈতিক চাপের পর ইসরাইল ও হামাস প্রথম ধাপের অস্ত্রবিরতি ও শান্তিচুক্তিতে রাজি হয়েছে। এই চুক্তি অনুযায়ী, বাকি ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে, বিনিময়ে ইসরাইল ছেড়ে দেবে কিছু ফিলিস্তিনি বন্দিকে এবং যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/08/31/hamas-leader-2025-08-31-22-11-06.jpg)
বর্তমানে হামাসের বন্দিত্বে রয়েছেন প্রায় ৪৭ জন। ইসরাইলি প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, তাঁদের মধ্যে অন্তত ২০ জন এখনো জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরের সেই হামলায় অন্তত ২৫০ জন—যাদের মধ্যে নারী, শিশু, বিদেশি ছাত্র ও শ্রমিকও ছিলেন—হামাসের হাতে জিম্মি হয়।
বিপিন জোশীও তখন তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে একটি কৃষি ফার্মে কাজ করছিলেন। হামাস যোদ্ধারা হঠাৎ আক্রমণে আসে। বিস্ফোরকের সামনে দাঁড়িয়েও তিনি ভয় না পেয়ে সাহসিকতার সঙ্গে এক গ্রেনেড দূরে ছুড়ে ফেলেছিলেন বলে তদন্তে জানা গেছে। সেদিন তাঁর উপস্থিত বুদ্ধিই অনেকের প্রাণ বাঁচিয়েছিল। কিন্তু এরপর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ নেই— ছিল না কোনো ছবি, কোনো যোগাযোগ, শুধু অপেক্ষা আর অনিশ্চয়তা।
এখন, গাজার শান্তিচুক্তি ও যুদ্ধবিরতির খবর শুনে তাঁর পরিবারে আশার স্রোত বইছে। তাঁরা প্রতিদিন যেন প্রার্থনা করছেন— “হয়তো এবার ফোনটা আসবে, হয়তো এবার ছেলেটা ফিরে আসবে।”
বিপিনের মা কেঁদে বলেন— “আমার ছেলেটা খুব সাহসী। আমি জানি, সে বেঁচে আছে। হয়তো সে ঘরে ফিরবে। আমি শুধু সেই দিনের অপেক্ষায় আছি।”
গোটা দক্ষিণ এশিয়ায় বিপিন জোশীর গল্প এখন এক প্রতীক— যুদ্ধ, ধর্ম ও রাজনীতির সীমান্ত পেরিয়ে এক তরুণের প্রাণ বাঁচিয়ে ফেরার অদম্য আশার গল্প।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us