/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/BugrCE9ia4gtmQ6NM8BY.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: ২০২৫ সালের নোবেল পুরস্কার মেডিসিন বা ফিজিওলজি বিভাগে প্রদান করা হয়েছে মেরি ই. ব্রাঙ্কো, ফ্রেড র্যামসডেল এবং শিমন সাকাগুচি-কে। তারা এমন গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছেন যা বোঝায় কীভাবে আমাদের ইমিউন সিস্টেম নিয়ন্ত্রণে থাকে যাতে তা নিজের অঙ্গকে আক্রমণ না করে।
মেরি ই. ব্রাঙ্কো, যিনি ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহণ করেন, প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পিএইচ.ডি. অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি সিয়াটলের ইনস্টিটিউট ফর সিস্টেমস বায়োলজি-তে সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন। ফ্রেড র্যামসডেল, ১৯৬০ সালে জন্মগ্রহণকারী, ১৯৮৭ সালে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে পিএইচ.ডি. লাভ করেছেন এবং বর্তমানে সোনোমা বায়োথেরাপিউটিকস, সান ফ্রান্সিসকো-তে বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা হিসেবে আছেন। শিমন সাকাগুচি, ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণকারী, ১৯৭৬ সালে এম.ডি. এবং ১৯৮৩ সালে পিএইচ.ডি. সম্পন্ন করেন কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান থেকে। বর্তমানে তিনি ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমিউনোলজি ফ্রন্টিয়ার রিসার্চ সেন্টার-এ ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর হিসেবে কর্মরত।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/06/nobel-prize-medicine-2025-10-06-19-21-12.png)
তাদের গবেষণার মূল বিষয় পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স, যা আমাদের দেহকে স্ব-ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। তারা দেখিয়েছেন, বিশেষ ধরনের রেগুলেটরি টি-সেলস কিভাবে কাজ করে যাতে ইমিউন সিস্টেম নিজের অঙ্গকে আক্রমণ না করে এবং অটোইমিউন রোগের ঝুঁকি কমানো যায়।
প্রতিদিন আমাদের ইমিউন সিস্টেম হাজার হাজার জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করে। কিন্তু অনেক রোগজীবাণু মানুষের কোষের সঙ্গে মিলিয়ে নিজেদের লুকায়, ফলে ইমিউন সিস্টেমের জন্য নির্ধারণ করা কঠিন হয়ে যায় কোন কোষ শত্রু এবং কোন কোষ নিজের। এই দীর্ঘদিনের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন এই তিন বিজ্ঞানী। তাদের গবেষণা দেখিয়েছে কীভাবে পেরিফেরাল টলারেন্স কাজ করে এবং আমাদের দেহকে নিজস্ব অঙ্গ থেকে আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
এভাবে, এই আবিষ্কার ইমিউনোলজি ও অটোইমিউন রোগের চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী ভূমিকা রাখছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us