নিজস্ব সংবাদদাতা: তীব্র শীতে কাঁপছে ইউক্রেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাশিয়ার ভয়াবহ মিসাইল হামলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। রাজধানী কিয়েভসহ বহু শহরে অন্ধকারে দিন কাটাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ।
ইউক্রেন সরকারের দাবি, এই হামলা ছিল যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সবচেয়ে বড় বলিস্টিক আক্রমণগুলির মধ্যে একটি। শনিবারের এই হামলায় দেশের একাধিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের শক্তিমন্ত্রী স্বিতলানা গ্রিনচুক জানান, “এটি ছিল জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর সরাসরি সবচেয়ে বড় হামলাগুলির একটি। নেটওয়ার্ককে স্থিতিশীল রাখতে জরুরি বিদ্যুৎ-বিচ্ছিন্নতা করতে হয়েছে প্রায় সব অঞ্চলে।”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/04/19/1000190362-412872.webp)
তিনি আরও বলেন, “প্রথমে আমরা জরুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতার পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। পরে ঘণ্টাভিত্তিক বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়েছে, যাতে মানুষ অন্তত জানেন কখন আলো আসবে আর কখন যাবে।”
রবিবার থেকে কিয়েভে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকবে না, এমনটাই জানিয়েছে স্থানীয় বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলি। দেশজুড়ে বিদ্যুৎ রেশনিং চলছে, কারণ এত বড় ক্ষয়ক্ষতির পর তা পুনরুদ্ধার করতে সময় লাগবে বলে সতর্ক করেছে ইউক্রেন সরকার।
রাশিয়ার এই ধারাবাহিক হামলায় শুধু বিদ্যুৎই নয়, পানীয় জল ও উষ্ণতাও সংকটে পড়েছে বহু এলাকায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের নাগরিকদের ওপর চাপ আরও বাড়বে, কারণ শীতের তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই হিমাঙ্কের নিচে।
এই হামলাকে আন্তর্জাতিক মহল ‘মানবিক সংকট তৈরি করার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখছে। ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে যুদ্ধের চাপ বাড়াতে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us