/anm-bengali/media/media_files/2025/07/05/micro-soft-2025-07-05-14-04-34.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: পাকিস্তানের প্রযুক্তি খাতে বড়সড় ধাক্কা! বিশ্বের অন্যতম টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট ঘোষণা করেছে, তারা পাকিস্তানে তাদের ২৫ বছরের পুরনো অফিস স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিচ্ছে। এই সিদ্ধান্তে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশের ব্যবসায়িক ও প্রযুক্তি মহলে। যদিও মাত্র পাঁচজন কর্মী এই সিদ্ধান্তে সরাসরি প্রভাবিত হয়েছেন, তবুও এটিকে নিছক সংখ্যা নয়, বরং একটি ‘প্রতীকী ধাক্কা’ হিসেবেই দেখছে বিশেষজ্ঞরা।
মাইক্রোসফটের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী তাদের কর্মীসংখ্যা হ্রাসের বৃহত্তর পরিকল্পনারই অংশ। সম্প্রতি তারা সারা বিশ্বে ৯,০০০-র বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে। এই প্রেক্ষিতেই পাকিস্তান থেকে তাদের প্রত্যাহারকেও এক প্রাকৃতিক রূপান্তর হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এক বিবৃতিতে মাইক্রোসফট জানায়, পাকিস্তানসহ কয়েকটি দেশে তারা সরাসরি উপস্থিত না থেকেও সফলভাবে ক্লায়েন্ট পরিষেবা দিচ্ছে আঞ্চলিক কেন্দ্র ও অনুমোদিত রিসেলারদের মাধ্যমে। একই মডেল এখন থেকে পাকিস্তানেও কার্যকর হবে। কোম্পানি আশ্বস্ত করেছে যে, তাদের সমস্ত চুক্তি ও পরিষেবা অব্যাহত থাকবে এবং পরিষেবার মানেও কোনও পরিবর্তন হবে না।
পাকিস্তানে মাইক্রোসফটের কাজ মূলত সীমিত ছিল এন্টারপ্রাইজ সেলস, আজুর ও অফিস সফটওয়্যারের বিপণনে। ভারতের মতো সেখানে কখনও কোনও ডেভেলপমেন্ট বা ইঞ্জিনিয়ারিং বেস তৈরি হয়নি। তবুও এই অফিস বন্ধকে অনেকেই আন্তর্জাতিক টেক দুনিয়ায় পাকিস্তানের ক্রমশ কমে যাওয়া গুরুত্বের প্রতিচ্ছবি হিসেবে দেখছেন।
প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তরফে দাবি করা হয়েছে, এটি মাইক্রোসফটের বৈশ্বিক পুনর্গঠন প্রক্রিয়ারই অংশ। তবে, বাস্তবিক অর্থে বিগত কয়েক বছর ধরেই কোম্পানিটি ধীরে ধীরে পাকিস্তানে তাদের কোর ফাংশন যেমন লাইসেন্সিং ও কনট্রাক্ট ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব ইউরোপের আয়ারল্যান্ড হাবে সরিয়ে আনছিল।
এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে—আন্তর্জাতিক টেক জায়ান্টদের জন্য পাকিস্তান কতটা নিরাপদ ও আকর্ষণীয় বিনিয়োগ ক্ষেত্র?