নিজস্ব সংবাদদাতা: পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে অবস্থিত একটি মসজিদে সম্প্রতি শোনা গেল ভয়ঙ্কর এক অডিও—যেখানে জইশ-ই-মোহাম্মদের প্রধান ও আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী মাসুদ আজহার নিজেই জিহাদের ডাক দিচ্ছেন। গোয়েন্দা সূত্রে মিলেছে বিস্ফোরক তথ্য, যা ভারতের নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য বড় হুমকির ইঙ্গিত বহন করছে।
অডিওটিতে আজহারকে বলতে শোনা যায়, “যারা আমাদের জিহাদের জন্য অর্থ দেয়, সেই অর্থই জঙ্গি কার্যকলাপে ব্যবহার হবে। পাকিস্তানকে যেভাবে বড় বড় ধর্মীয় নেতার আশীর্বাদ দরকার, ঠিক সেভাবেই দরকার মুজাহিদদের আশীর্বাদ। আমাদের কাছে আছে ফিদায়িন, যাদের কোনো বল বা ক্ষেপণাস্ত্রও আটকাতে পারবে না। জইশের ৩০,০০০ কর্মী রয়েছে, তার মধ্যে ১০,০০০ জন ফিদায়িন জিহাদের জন্য প্রস্তুত।”
গোয়েন্দা বিভাগ আশঙ্কা করছে, মাসুদ আজহারের এই বক্তব্য শুধু কথার কথা নয়, বরং এটি ভবিষ্যৎ হামলার ইঙ্গিত। সূত্র বলছে, সম্প্রতি ভারতের সফল ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর পাকিস্তান আবার নতুন করে মাসুদ আজহারকে সক্রিয় করে তুলেছে। এই অডিও প্রকাশ্য করা হয়েছে ঠিক এমন এক সময়ে, যখন অমরনাথ যাত্রা শুরু হয়েছে। গোয়েন্দাদের মতে, এই ‘ভয় জাগানো হুংকার’ ভারতীয় অভ্যন্তরীণ শান্তি বিঘ্নিত করার পরিকল্পনার অংশ।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/zNhKWhWYRohH3cCQI5qi.jpg)
মাসুদ আজহারের কথায় ‘ফান্ডিং’ প্রসঙ্গও এসেছে, যা সরাসরি হাওয়ালা ও আন্তর্জাতিক টেরর চ্যানেলের সক্রিয় অবস্থানের দিকে ইঙ্গিত করে। গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাওয়ালপিন্ডি, লাহোর এবং উপসাগরীয় (গালফ) অঞ্চলে নতুন করে সন্ত্রাসের অর্থ প্রবাহ শুরু হয়েছে।
এইসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ধারণা করা হচ্ছে, পাকিস্তান তাদের পুরনো পন্থা—ফিদায়িন, লোন উলফ এবং ‘হাইব্রিড’ জঙ্গিদের মাধ্যমে হামলার পরিকল্পনা করছে। গোয়েন্দা বিভাগ আরও বলেছে, দক্ষিণ পাঞ্জাব ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক মাদ্রাসা ক্লাস্টারকে আবার সক্রিয় করা হয়েছে।
উল্লেখযোগ্য, মাসুদ আজহার ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ড, যে হামলায় শহিদ হয়েছিলেন ভারতের ৪০ জন জওয়ান। তিনি জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী এবং পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ছত্রছায়ায় থেকে বহুদিন ধরেই ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us