/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/BugrCE9ia4gtmQ6NM8BY.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: মাদাগাস্কারে অবিশ্বাস্য পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। রাষ্ট্রপতি অ্যান্ড্রি রাজোলিনার ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে কিছু সেনা বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। রবিবার রাষ্ট্রপতির কার্যালয় জানিয়েছে, দেশের ক্ষমতা দখলের জন্য জোর প্রয়োগের চেষ্টা চলছে। এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছে দেশের এক এ্যালিট CAPSAT ইউনিট, যা ২০০৯ সালে রাষ্ট্রপতি রাজোলিনাকে ক্ষমতায় আনার সময় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল।
উক্ত CAPSAT ইউনিটের সেনারা শনিবার দেশজুড়ে অন্য সৈন্যদেরও তাদের আদেশ অমান্য করতে এবং যুবা নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের পাশে দাঁড়াতে আহ্বান জানিয়েছে। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলমান এবং ২০২৩ সালে রাজোলিনার পুনর্নির্বাচনের পর এটি তার শাসনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/13/madagasar-2025-10-13-00-40-53.png)
CAPSAT অফিসাররা রবিবার জানায়, তারা দেশের নিরাপত্তা কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং রাজধানী অন্তানানারিভোর শহরতলির ঘাঁটি থেকে সেনা বাহিনীর সব শাখাকে সমন্বয় করবে। তারা জেনারেল ডেমোস্তেন পিকুলাসকে সেনা বাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ করেছে।
এদিকে, পুলিশ ও জেন্ডার্মারি যৌথভাবে বিক্ষোভ দমন করার পর, রবিবার তারা সরকারের প্রতি আনুগত্য ভেঙে যুবা আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে। জাতীয় জেন্ডার্মারি ইন্টারভেনশন ফোর্সের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “সকল ধরনের বলপ্রয়োগ এবং নাগরিকদের প্রতি অনুপযুক্ত আচরণ নিষিদ্ধ। জেন্ডার্মারি জনগণকে রক্ষা করার জন্য, কিছু ব্যক্তির স্বার্থের জন্য নয়।”
বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, জেন্ডার্মারি CAPSAT সদর দফতরের সঙ্গে সমন্বয় করছে। তবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ও সেনা প্রধানরা এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
দেশজুড়ে উত্তেজনা এবং অস্থিরতা বেড়েই চলেছে, যা মাদাগাস্কারের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us