খাবারের জন্য় হাহাকার... শিশুদের কান্না... ত্রাণের খাবার লুঠ করলেন স্থানীয়রা

গাজাতে খাবার ও পানীয় জলের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। রাফাহ সীমান্তে গাজার বাসিন্দাদের জন্য আসা ত্রাণ লুঠ করল ক্ষুধিতরা। গাজার স্থানীয় বাসিন্দারা খোলা আকাশের নীচে রয়েছেন। তাঁদের কাছে না আছে থাকার জায়গা আর না আছে খাবার বা পানীয় জল।

New Update
hungry gaza.jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা: দীর্ঘদিন ধরে ইজরায়েলের হামলার জেরে গাজার পরিস্থিতির ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে। গাজায় খাবারের তীব্র আকাল দেখা দিয়েছে। রবিবার গাজায় এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। গাজা সীমান্তে ত্রাণের ট্রাক পৌঁছায়। তারপরেই গাজার স্থানীয় বাসিন্দারা ত্রাণ বিতরণের জন্য অপেক্ষা না করে, ট্রাকের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ত্রাণের খাবার লুঠ করতে দেখতে পাওয়া যায়। রাষ্ট্রসংঘের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গাজার পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে। 

জানা গিয়েছে, একটি ত্রাণের ট্রাক মিশর দিয়ে রাফাহ ক্রশিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করে। প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে ফিলিস্তিনিরা ত্রানের ট্রাকটিকে ঘিরে ফেলে।  বাধ্য হয়েই ট্রাকটি গন্তব্যের আগে থেমে যায়। এরপরেই ফিলিস্তিনিরা ট্রাকটি থেকে খাবার ও জলের প্যাকেট নামাতে থাকে। মুহূর্তের মধ্যে তা ট্রাকের সামনে থাকা ভিড়ে মিশে যেতে থাকে। ঠিক যে সময় ট্রাকটি ফিলিস্তিনিরা লুঠ করছিলেন, মুখোশ পরা কিছু মানুষকে লাঠি নিয়ে ট্রাকটিকে পাহারা দিতে দেখা যায়। যাতে ফিলিস্তিনিরা নির্বিঘ্নে ট্রাকটি লুঠ করতে পারে। 

আন্তর্জাতিক মহলের তরফে জানানো হয়েছে, শুধু রাফাহ শহর নয়, সমগ্র গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ হয়ে গিয়েছে। ইজরায়েলের হামলার জেরে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তচ্যুত। তাঁরা খোলা আকাশের নীচে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। খাবার, পানীয় জলের তীব্র আকাল দেখতে পাওয়া গিয়েছে। গাজা স্ট্রিপের অভ্যন্তরে স্থানীয়দের জন্য যে ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে তা যথেষ্ঠ নয়। এই মুহূর্তে গাজার মানুষের কাছে কিছুই নেই। না রয়েছে খাবার, না রয়েছে পানীয় জল কিংবা ওষুধ। 

চলতি সপ্তাহে রাষ্ট্রসংঘের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে গাজার মানবিক অধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। বিবৃতিতে রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, গাজার মানুষ খাবারের জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে তাঁদের অভুক্ত অবস্থায় থাকতে হচ্ছে।  UNRWA-এর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি সম্প্রতি গাজা স্ট্রিপ পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ইজরায়েলের হামলার জেরে গাজার মানুষ অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এত  তীব্র খাবার আকাল, গাজার মানুষ আগে কখনও অনুভব করেননি।  রাষ্ট্রসংঘের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যুদ্ধ পরিস্থিতি ছাড়া গাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না। অন্যদিকে, একদিন আগেই ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কোনওভাবেই এই মুহূর্তে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ থামানো যাবে না।