পৃথিবীর যেখানেই লুকিয়ে থাকুক খুঁজে বার করব, কাকে হুমকি দেওয়া হল

ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেটের প্রধান বলেছেন, হতে পারে, কয়েক বছর সময় লাগবে। তবে পৃথিবীর যে প্রান্তে হামাস জঙ্গিরা থাকুক না কেন, তাদের খুঁজে বের করা হবে।

author-image
Tamalika Chakraborty
আপডেট করা হয়েছে
New Update
জম্ন

নিজস্ব সংবাদদাতা:  পৃথিবীর যেখাইন থাকুক না কেন, হামাস জঙ্গিদের খুঁজে বের করা হবে। ইজরায়েল গুপ্তচর সংস্থা এমনই হুমকি দিল। ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেটের প্রধান বলেছেন, কয়েক বছর সময় লাগলেও ইজরায়েল লেবানন, তুরস্ক এবং কাতারে হামাসকে খুঁজে বের করা হবে।

 

ইজরায়েলের পাবলিক ব্রডকাস্টার কান সাক্ষাৎকারের একটি রেকর্ডিং প্রকাশ করেছে। শিন বেটের প্রধান রনেন বার কোন প্রেক্ষিতে একথা বলেছেন, তা পরিষ্কার হয়নি। ইজরায়েলের পাবলিক ব্রডকাস্টার এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলকে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।

রেকর্ডিংয়ে রেনন বার বলেন, “মন্ত্রিসভা হামাসকে নির্মূল করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এটা আমাদের মিউনিখ। গাজায়, ওয়েস্ট ব্যাঙ্কে , লেবাননে, তুরস্কে, কাতারে আমরা সব জায়গায় তল্লাশি চালাবো। এটি করতে বেশ কয়েক বছর সময় নেবে। তবে আমরা হামাসকে নির্মূল করে তবে থামব।"

মিউনিখে ১৯৭২ সালের ইজরায়েলি অলিম্পিক দলের ১১জন সদস্যকে হত্যা করা হয়। ফিলিস্তিনি ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর গ্রুপের বন্দুকধারীরা মিউনিখে আক্রমণ করেছিল। এরপর ইজরায়েল বেশ কয়েক বছর ধরে বেশ কয়েকটি দেশে ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর অপারেটিভ এবং সংগঠকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। ইজরায়েলের হাতে সংগঠকদের বেশ কয়েকজন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল।

অন্যদিকে, ইজরায়েল গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় হামাসের ওপর হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে। অন্যদিকে, রবিবার গাজার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইজরায়েলের হামলায় গাজার ৭০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেশিরভাগ সাধারণ মানুষ। গাজা জানিয়েছে, এক কিশোরেও মৃত্যু হয়েছে।

অন্যদিকে, রাষ্ট্রসংঘ সতর্ক করে জানিয়েছে, গাজায় পরিস্থিতি দিনে দিনে অত্যন্ত ভয়ানক হয়ে উঠেছে। গাজার খাবারের হাহাকার বাড়তে শুরু করেছে। যার ফলে অপুষ্টির মতো রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। গাজার সাধারণ মানুষের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ত্রাণ আসছে। কিন্তু তা লোকসংখ্যার নিরিখে পর্যাপ্ত নয়। গাজার সাধারণ মানুষ নিজেদের খাবারের পরিমাণ কমাতে শুরু করে দিয়েছেন অভাবের জন্য। অন্যদিকে, জলের অভাব ক্রমেই চরম আকার ধারণ করছে। রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, প্রয়োজনীয় খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। যেটুকু পাওয়া যাচ্ছে, তার দাম এতটা বেশি যে সাধারণ মানুষ কিনতে পারছেন না। এর জেরে গাজায় মুদ্রাস্ফীতি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। নাকাল সাধারণ মানুষ। গাজাকে নিয়ে চরম সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।