যে কোনও মূল্যে পণবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে, হুঙ্কার ইজরায়েলের

ইজরায়েল জানিয়েছে, যে কোনও মূল্যে পণবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। এই বিষয়ে হামাসের সঙ্গে তারা আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। এখনও হামাসের কাছে ইজরায়েলের সেনা, মহিলা সহ বহু সাধারণ নাগরিক বন্দি রয়েছেন।

author-image
Tamalika Chakraborty
আপডেট করা হয়েছে
New Update
jpg

নিজস্ব সংবাদদাতা:  ইজরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘পণবন্দি আলোচনার প্রথম ধাপটি ছিল মহিলা ও শিশুদের মুক্তির বিষয়ে। হামাস সাধারণ মহিলাদের আটকে রেখেছে এবং তাদের মুক্তি দেবে না বলে দাবি করছে। ইজরায়েল এখনই লড়াই থামাবে না। ইজরায়েলের মহিলাদের মুক্তি দিতেই হবে। এই বিষয়ে ইজরায়েল হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে। হামাস যদি প্রস্তুত থাকে, ইজরায়েল আলোচনায় বসতে চায়। হামাসের কাছে বহু সাধারণ মানুষ বন্দি রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর আহত। হামাস ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর অনেক সেনাকে বন্দি করে রেখেছে। আমরা এই বিষয়ে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা করব। আমরা কীভাবে হামাসের হাত থেকে বন্দিদের উদ্ধার করতে পারি, সেই বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাবো। তবে হামাস যদি আলোচনায় বসতে রাজি না হয় বা বন্দিদের মুক্তি দিতে সম্মত না হয়, তার কৈফিয়ৎ হামাসকে দিতে হবে। তার ফল হামাসকে ভোগ করতে হবে।’
অন্যদিকে, ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর তরফে দাবি করা হয়েছে, হামাস গাজায় নিশ্চিন্তে হামলা পরিচালনা করার জন্য অনেক টানেল ও ব্যাঙ্কারের ব্যবহার করেছে। ইতিমধ্যে ইজরায়েলের সেনাবাহিনী ৮০০টির বেশি টানেল বা সুড়ঙ্গ ও ব্যাঙ্কারের হদিশ পেয়েছে। বেশিরভাগ টানেল বা সুড়ঙ্গ ইজরায়েলের সেনাবাহিনী ধ্বংস করে দিয়েছে। যে কটি টানেল বা ব্যাঙ্কার বাকি রয়েছে, ইজরায়েলের সেনাবাহিনী দ্রুত সেগুলো ধ্বংস করে দেবে। ইতিমধ্যে হামাস জঙ্গিদের বহু সদস্য তুরস্ক, কাতার, লেবাননের মতো দেশগুলোতে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে বলে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা দাবি করেছে। তারা যে দেশেই লুকিয়ে থাকুক না, খুঁজে বের করে হত্যা করা হবে বলে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা জানিয়েছে।