১২ দিনের যুদ্ধে আমেরিকা-ইসরায়েলের আসল লক্ষ্য ছিল খামেনেই! কিন্তু কোথায় ছিলেন তিনি?

ইসরায়েলের আসল লক্ষ্য ছিল খামনেই।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
khamenei


নিজস্ব সংবাদদাতা: ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক বিস্ফোরক মন্তব্যে জানিয়েছেন, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেই যদি তাঁদের রাডারের আওতায় থাকতেন, তবে তাঁকে নিশ্চিহ্ন করত ইসরায়েল।

বৃহস্পতিবার কান পাবলিক টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে কাটজ বলেন, “আমার ধারণা, যদি খামেনেই আমাদের লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে থাকতেন, আমরা তাঁকে সরিয়ে দিতাম।” তিনি আরও জানান, “তাঁকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল, কিন্তু বাস্তবায়নের সুযোগ আসেনি।”

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধের সময় এই গোপন মিশন বাস্তবায়নের সম্ভাবনা থাকলেও, খামেনেই সম্ভবত হুমকি আঁচ করে গভীর বাঙ্কারে আশ্রয় নেন এবং ইসরায়েলি হামলায় নিহত কমান্ডারদের উত্তরসূরিদের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন।

১৩ জুন ইরানের একাধিক পরমাণু কেন্দ্রে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় শীর্ষ সামরিক বিজ্ঞানী ও কমান্ডারদের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই আয়াতোল্লাহ খামেনেই জনসমক্ষে আসেননি এবং তাঁকে গোপন এক নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা।

benjamin 4.jpg

এই যুদ্ধে ইসরায়েলের সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু ছিলেন খামেনেই নিজেও। যুদ্ধের শুরুর দিকেই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুজনেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, শাসনব্যবস্থার বদল হতে পারে—এবং খামেনেইয়ের উপর আক্রমণও হতে পারে।

তবে মঙ্গলবার একটি মার্কিন-মধ্যস্থতা যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে যুদ্ধ শেষ হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একটি রেকর্ড করা ভিডিও বার্তায় প্রথমবার জনসমক্ষে এলেন খামেনেই। তিনি ঘোষণা করেন, “ইসলামিক রিপাবলিক জয় লাভ করেছে এবং আমেরিকাকে কড়া চড় মেরেছে।”

খামেনেইর কথায়, “এই যুদ্ধে আমেরিকা কোনো ফল লাভ করেনি।”

এদিকে, হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট খামেনেইয়ের ভিডিও বার্তাকে “মুখ বাঁচানোর চেষ্টা” বলে কটাক্ষ করেন। তাঁর কথায়, “যে কেউ বাস্তবতা বোঝে, সে জানে গত শনিবার রাতের সঠিক হামলাগুলো অত্যন্ত সফল ছিল।”