/anm-bengali/media/media_files/2025/04/28/n7bMV3cL0trIE1fdhSDG.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: গাজা যুদ্ধবিরতির বিষয়ে নতুন আশার আলো দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার হামাসের শীর্ষ কর্মকর্তা ফাওজি বারহুম জানিয়েছেন, তাঁদের প্রতিনিধি দল বর্তমানে মিশরে আলোচনায় যুক্ত, এবং তারা গাজার সংকট সমাধানে সব ধরনের বাধা দূর করতে কাজ করছে।
বারহুম বলেন, হামাস খুবই গুরুত্বের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির পথে অগ্রসর হতে চায়, যাতে এই চুক্তি ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। আলোচনার ভিত্তি হিসেবে রয়েছে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা।
ট্রাম্প সোমবার ওভাল অফিস থেকে বলেন, “হামাস আমার প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশে সম্মত হয়েছে। আমাদের সামনে একটি বড় সুযোগ আছে— এমন এক চুক্তি করতে পারব, যা দীর্ঘস্থায়ী হবে।” এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে মিশরের শার্ম আল শেখ শহরে, যেখানে ইসরায়েল, হামাস, মিশর, কাতার এবং যুক্তরাষ্ট্র— পাঁচ পক্ষই উপস্থিত রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও কাতার মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনার বেশ কিছু মূল বিষয় উভয় পক্ষই মেনে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজার সাধারণ নাগরিকদের জন্য মানবিক সাহায্যের পথ খুলে দেওয়া।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/07/gaza-2025-10-07-19-41-58.png)
ট্রাম্প আরও বলেন, “যদি কিছু শর্ত পূরণ না হয়, তাহলে আমরা এগোব না। কিন্তু আমি মনে করি আমরা ভালো অবস্থানে আছি। গাজাকে নিয়ে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে সবাই শান্তির চুক্তি করতে চেয়েছে — এবার তা সম্ভব হতে পারে।”
পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে গাজায় আটক ৪৮ জন জিম্মির মুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে, যাদের মধ্যে ২০ জন জীবিত আছেন বলে বিশ্বাস করা হচ্ছে। তাঁদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই প্রাথমিক চুক্তি এই সপ্তাহের মধ্যেই বাস্তবায়িত হতে পারে।
মিশর ও কাতারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি সফল হলে একটি দীর্ঘমেয়াদি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দিকেই বড় পদক্ষেপ হবে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us