/anm-bengali/media/media_files/2025/07/20/trump-and-xi-jinping-2025-07-20-23-05-52.jpg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে ফের বড় মন্তব্য করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “চীন আমাদের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল আচরণ করছে। তারা বর্তমানে আমাদের বিপুল পরিমাণ অর্থ দিচ্ছে ট্যারিফ বা শুল্কের মাধ্যমে। এখন তারা ৫৫% হারে ট্যারিফ দিচ্ছে, যা অত্যন্ত বড় অঙ্ক।”
ট্রাম্পের দাবি, এতদিন বহু দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বাণিজ্যিকভাবে “ব্যবহার করেছে”, কিন্তু তাঁর প্রশাসন আসার পর সেই সুযোগ আর কেউ পাচ্ছে না।
তিনি বলেন, “চীন ৫৫% হারে ট্যারিফ দিচ্ছে এবং যদি নভেম্বরের ১ তারিখের মধ্যে কোনো চুক্তি না হয়, তাহলে এই হার বেড়ে ১৫৫% পর্যন্ত হতে পারে।”
ট্রাম্প জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই তিনি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং (Xi Jinping)-এর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈঠক করবেন। “আমাদের মধ্যে খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমি মনে করি, আমরা এমন কিছু বের করতে পারব যা দুই দেশের পক্ষেই ভালো হবে,” বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/07/02/donald-trump-2025-07-02-21-53-42.jpeg)
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য আসলে বাণিজ্যিক চাপ প্রয়োগের কৌশল। যুক্তরাষ্ট্র চায়, চীন যেন আমেরিকান বাজারে তাদের রপ্তানি নীতি ও মুদ্রা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আরও স্বচ্ছতা আনে।
ট্রাম্প প্রশাসনের ট্যারিফ নীতির ফলে ইতিমধ্যেই চীনা পণ্যের দাম মার্কিন বাজারে বেড়েছে, যার প্রভাব পড়েছে আমেরিকান ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের ওপরও। তবে ট্রাম্পের মতে, “এই কঠোর পদক্ষেপই শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করেছে।”
দক্ষিণ কোরিয়ায় নির্ধারিত বৈঠকের দিকে এখন তাকিয়ে আছে দুই দেশের ব্যবসায়ী মহল। বিশ্ব অর্থনীতিও শ্বাসরুদ্ধ হয়ে অপেক্ষা করছে, ট্রাম্প ও সি চিন পিং-এর এই সাক্ষাৎ বাণিজ্যযুদ্ধের উত্তাপ কমাতে পারে কি না।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us