/anm-bengali/media/media_files/2025/07/02/donald-trump-2025-07-02-21-53-42.jpeg)
নিজস্ব সংবাদদাতা: তৃতীয় বিশ্বের সমস্ত দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে ঝড় তুললেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজের সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম Truth Social-এ দেওয়া এক দীর্ঘ পোস্টে এই বিস্ফোরক ঘোষণা করেছেন বর্ষীয়ান রিপাবলিকান নেতা। সেই ঘোষণার পর থেকেই দেশ-বিদেশে তীব্র জল্পনা শুরু হয়েছে—ঠিক কোন কোন দেশ এই তালিকার মধ্যে পড়ছে? তৃতীয় বিশ্বের তকমার আওতায় কি ভারতও রয়েছে?
ট্রাম্প তাঁর পোস্টে সরাসরি লেখেন, তিনি আমেরিকার ‘সিস্টেমকে সম্পূর্ণ পুনরুদ্ধার’ করার জন্য তৃতীয় বিশ্বের সমস্ত দেশ থেকে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেবেন। পাশাপাশি তাঁর কড়া আক্রমণ জো বাইডেনের দিকে। ট্রাম্পের দাবি, ‘ঘুমন্ত জো বাইডেন’-এর ‘অটোপেন’ স্বাক্ষরে লক্ষ লক্ষ অবৈধ প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়েছে, যা তিনি বাতিল করবেন। তাঁর ঘোষণায় আরও বলা হয়েছে, যাঁরা আমেরিকার ‘মূল সম্পদ’ নন অথবা দেশের প্রতি অনুগত নন, তাঁদের সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হবে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/10/13/donald-trump-2025-10-13-00-50-51.png)
এখানেই থেমে থাকেননি ট্রাম্প। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা অভিবাসীদের জন্য সমস্ত ফেডারেল সুবিধা ও ভর্তুকি বন্ধ করে দেওয়া হবে। যাঁরা দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি নষ্ট করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি যে কোনও বিদেশি নাগরিক যদি ‘জনসাধারণের বোঝা’, ‘নিরাপত্তার ঝুঁকি’ বা ‘পশ্চিমি সভ্যতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হন, তবে তাঁদের নির্বাসনের কথাও স্পষ্টভাবে বলেছেন তিনি।
এই ঘোষণার পর থেকেই আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষ করে ভারত, বাংলাদেশ, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার বহু দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষ পড়াশোনা, কাজ ও স্থায়ী বসবাসের জন্য আমেরিকায় পাড়ি দেন। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে সেই অভিবাসন প্রবাহে বড়সড় ধাক্কা লাগতে পারে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্প যদিও ‘থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রি’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন, কিন্তু কোন কোন দেশের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে, সে বিষয়ে এখনও কোনও নির্দিষ্ট তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। ফলে ভারত এই সিদ্ধান্তের আওতায় পড়বে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে প্রবাসী ভারতীয় মহলে।
এর আগেও একাধিকবার কঠোর অভিবাসন নীতির কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তবে এবারের ঘোষণা আগের সবকিছুকেই ছাপিয়ে গেল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের একাংশের। এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন—এই ঘোষণাই কি ভবিষ্যতের আমেরিকার অভিবাসন নীতির দিশা ঠিক করে দিল?
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us