/anm-bengali/media/media_files/2025/11/11/delhi-red-fot-blasta-2025-11-11-20-32-33.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: দিল্লির লালকেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২-এ। আহতের সংখ্যা এখনও অনিশ্চিত, বিভিন্ন হাসপাতালে ২০-এরও বেশি মানুষ চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানাচ্ছে, এখন পর্যন্ত আটজনের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৮ বছরের কসমেটিকস ব্যবসায়ী নৌমান আনসারি, যিনি উত্তরপ্রদেশের শামলি থেকে ছোট দোকানের জন্য মালামাল কিনতে দিল্লি এসেছিলেন, এবং তিন বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন ট্যাক্সি চালক পঙ্কজ সাইনি।
নৌমানের মামা ফুরকান জানান, নৌমানই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম। “নৌমান ঘটনাস্থলেই মারা গেছে, তার ভগ্নিপতি আঘাতপ্রাপ্ত, বর্তমানে লোক নায়ক হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন,” তিনি বলেন। নৌমানের চাচাত ভাই সোনু স্মৃতি ভাগাভাগি করে বলেন, “ভোরে ডাক ছিল, নৌমান আর নেই, আমাকে LNJP হাসপাতালে যেতে বলা হলো।”
পঙ্কজ সাইনির পরিবারের সূত্রে জানা যায়, ২২ বছর বয়সী এই তরুণ ট্যাক্সি চালক তিন বছর ধরে দিল্লিতে কাজ করছিলেন। কোটওয়ালি পুলিশ স্টেশন থেকে ফোনে পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর খবরে অবহিত করা হয়। পঙ্কজের চাচাত ভাই রামদেব সাহনী বলেন, “তিনি তিন বছর ধরে ট্যাক্সি চালাচ্ছিলেন। পেছনের মাথার অংশ বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়ে গেছে। গাড়িটি, একটি ওয়াগনার, সম্পূর্ণ ধ্বংস।”
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/11/delhi-blast-victims-2025-11-11-19-32-50.png)
আরও একজন নিহত ছিলেন আশোক কুমার, ৩৪ বছর বয়সী ডিটিসি কনডাক্টর। সহকর্মীরা তাঁকে “নীরব ও পরিশ্রমী ব্যক্তি” হিসেবে স্মরণ করেন। সম্প্রতি তিনি তার মেয়ের জন্মদিনও উদযাপন করেছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় Unlawful Activities (Prevention) Act এবং Explosives Act অনুযায়ী মামলা করা হয়েছে। বিস্ফোরণের পিছনে থাকা দায়ীদের খুঁজতে পুলিশ এখনো বহু স্থানে রেইড চালাচ্ছে। জাতীয় রাজধানী সতর্ক অবস্থায় রয়েছে, বিমানবন্দর, রেলস্টেশন এবং গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক স্থানে নিরাপত্তা আরও কড়া করা হয়েছে।
নৌমান আনসারি শামলির গ্রামের ১৮ বছরের তরুণ, যিনি কসমেটিকস ব্যবসার জন্য দিল্লি এসেছিলেন, আর পঙ্কজ ও আশোকের মতো অনেকে শহরে জীবিকার তাগিদে এসেছিলেন। এই বিস্ফোরণ তাঁদের পরিবার ও দেশের মানুষকে গভীর শোকের অভিজ্ঞতা দিচ্ছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us