/anm-bengali/media/media_files/2025/10/06/pakistan-army-a-2025-10-06-18-34-16.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শারিফ চৌধুরী সম্প্রতি ব্লুমবার্গকে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছে, “আমরা সব ধরণের প্রযুক্তি গ্রহণ করতে প্রস্তুত। বিশেষ করে সাম্প্রতিক চীনা অস্ত্রগুলো যুদ্ধক্ষেত্রে অসাধারণ পারফর্ম করেছে।” তিনি এই মন্তব্যের এক সপ্তাহের মধ্যেই করেছেন।
এই দাবি মূলত ২০২৫ সালের মে মাসে ঘটে যাওয়া চার দিনের ভারত-পাক যুদ্ধ, যা ভারত “অপারেশন সিঁদুর” নামে চিহ্নিত করেছে, সেই যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে করা হচ্ছে। পাকিস্তান দাবি করছে, সেই সময়ে তার ব্যবহৃত চীনে তৈরি PL-15 ক্ষেপণাস্ত্র, HQ-9P বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং JF-17 ও J-10 যুদ্ধবিমানের প্ল্যাটফর্মগুলি খুব ভালো কাজ করেছে।
কিন্তু সামরিক বিশ্লেষক ও বিভিন্ন রিপোর্ট অন্য রকম চিত্র তুলে ধরে। তারা বলছে, ভারত তার নিজস্ব তৈরি অস্ত্র — যেমন ব্রহ্মোস সুপারসনিক মিশাইল ও আকাশ তীর বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা — দিয়ে পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটি ও সমর্থন অবকাঠামোতে বেশ ধ্বসাত্মক আঘাত হানেছে। অনেকেই বলছেন, চীনে তৈরি PL-15 ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভারতীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার হামলায় “বিচ্ছিন্ন” হয়ে গেছে।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/05/11/oyQmhMoRQELfy9OK56Pk.jpg)
এই অবস্থায় পাকিস্তানের এমন দাবি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে — তারা কি বাস্তবতা গোপন করছে, নাকি প্রচারণার অংশ হিসেবে এমন প্রোপাগান্ডা মিথ্যা প্রচার করছে? পাকিস্তান যাই বলুক, ভারতের যুদ্ধ বিশ্লেষকরা বলছেন যে ভারতীয় আধুনিকীকৃত নিজস্ব অস্ত্রই এই যুদ্ধের “নিহতশিকার” কর্তৃত্ব গড়ে তুলেছে।
চীন ও পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ও সীমান্ত ও রোড উদ্যোগ (BRI)–র আওতায় চীনের অভ্যন্তরীণ উন্নয়নে পাকিস্তানে বিনিয়োগ বড় মাত্রায় হচ্ছে। পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি সম্প্রতি চীনের চেংডু গেছেন, যেখানে J-10 যুদ্ধবিমান তৈরি হয় — এ বিষয়ে সরাসরি চীনের প্রতিরক্ষা ও বাণিজ্যিক অংশীদারিত্বের প্রাসঙ্গিকতা বোঝা যায়।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us