/anm-bengali/media/media_files/2025/05/02/TlskZaWEYwPM8RtQ8gAX.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: তাঁর লক্ষ্য ছিল সত্যকে সামনে আনা—বিশ্বকে জানানো রুশ অধিকৃত ইউক্রেনীয় অঞ্চলের বাস্তব পরিস্থিতি। সেই লক্ষ্যেই তিনি গিয়েছিলেন ঝাপোরজিয়া অঞ্চলে। কিন্তু সেই 'মিশন'-এর শেষ হল মর্মান্তিকভাবে।
নিহত হলেন ইউক্রেনীয় সাংবাদিক ভিক্টোরিয়া রশচিনা। বয়স মাত্র ২৭। রুশ সেনার হাতে বন্দি হওয়ার পর, অবশেষে তাঁর নিথর দেহ ফিরে আসে ইউক্রেনের হাতে। ফরেনসিক রিপোর্টে উঠে এসেছে চরম অমানবিকতার চিত্র—শরীরে অত্যাচারের একাধিক চিহ্ন, এমনকি চোখের মণি, মস্তিষ্ক এবং শ্বাসনালি পর্যন্ত তুলে নেওয়া হয়েছে! এই নৃশংসতা দেখে শিউরে উঠেছেন তদন্তকারীরা।
/anm-bengali/media/media_files/2025/05/02/De8RhB55GBm0HdJiWSpF.jpg)
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু রুশ সেনার হাতে আটক সাধারণ মানুষের উপর হওয়া অমানবিক নির্যাতনেরই প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভিক্টোরিয়া কাজ করতেন ইউক্রেনের প্রখ্যাত সংবাদমাধ্যম ‘ইউক্রেনস্কা প্রাভদা’-তে। সংস্থার সম্পাদক সেভগিল মুসাইয়েভা জানিয়েছেন, তিনি ছিলেন অত্যন্ত প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ও দায়িত্ববান একজন সাংবাদিক। রুশ অধিকৃত অঞ্চলে গিয়ে খবর সংগ্রহ করাকে ভিক্টোরিয়া শুধু কাজ নয়, এক ধরনের দায়িত্ব এবং মিশন বলেই মনে করতেন। একাই গিয়েছিলেন তিনি ঝাপোরজিয়ায়। কেউ ভাবেনি তাঁর এমন নির্মম পরিণতি হবে। এই ঘটনার পর আবারও প্রশ্ন উঠেছে যুদ্ধক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সুরক্ষা ও মানবাধিকারের বাস্তব চিত্র নিয়ে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us