/anm-bengali/media/media_files/2025/11/19/brazil-supreme-court-2025-11-19-08-20-53.png)
নিজস্ব সংবাদদাতা: ব্রাজিলে অভাবনীয় রাজনৈতিক নাটক। দেশের সুপ্রিম কোর্টের একটি বিশেষ প্যানেল মঙ্গলবার এক ঐতিহাসিক রায়ে উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের ও এক ফেডারেল পুলিশ সদস্যকে সর্বোচ্চ ২৪ বছরের কারাদণ্ড দিল। অভিযোগ—তারা শুধুই সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ নয়, বরং রাষ্ট্রপতি লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা ও শীর্ষ নেতৃত্বকে খুনের ছক কষেছিলেন। আদালতে প্রমাণিত হয়েছে, এই দলটি গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা ভেঙে দিয়ে সশস্ত্র অভ্যুত্থানের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
এর আগে সেপ্টেম্বরে একই আদালত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোকে ২৭ বছর তিন মাসের সাজা দেয়, কারণ তিনিই ছিলেন পুরো অপরাধচক্রের প্রধান। আদালতের বিচারপতিরা তখন জানিয়েছিলেন, বলসোনারোর আশেপাশের ঘনিষ্ঠ মহল ছিল “মূল ষড়যন্ত্রকারী দল”—যারা নির্বাচনে লুলার জয়কে মেনে নিতে পারেনি।
নতুন রায় অনুযায়ী, যে দলটি হিংসাত্মক পদক্ষেপ নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, সেখানে মোট দশজন ছিলেন—নয়জন সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং একজন ফেডারেল পুলিশ সদস্য। চারজন বিচারপতির প্যানেল একযোগে তাদের মধ্যে নয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। একজন অবসরপ্রাপ্ত জেনারেলকে প্রমাণের অভাবে খালাস দেওয়া হয়।
/filters:format(webp)/anm-bengali/media/media_files/2025/11/19/brazil-army-2025-11-19-08-21-17.png)
দোষী সাব্যস্তদের মধ্যে সাতজনকে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ভাঙার চেষ্টা, সশস্ত্র ক্যু-এর পরিকল্পনা, সশস্ত্র অপরাধী সংগঠনে যোগদান, রাষ্ট্রের সম্পত্তি বিনষ্ট করা এবং ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনের ক্ষতি করার মতো কঠিন অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। বাকিদের বিরুদ্ধে অপেক্ষাকৃত হালকা অভিযোগ—অপরাধমূলক সংগঠনে যোগদান এবং সেনাবাহিনী ও সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো।
পুরো দেশের রাজনৈতিক অন্দরমহলে এই রায় এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। কারণ এই অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন একসময়কার ক্ষমতাশালী সেনা অফিসাররা, যাঁরা দেশের শীর্ষ নেতাদের হত্যা করে ক্ষমতা বদলের পথ খুঁজছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে—ব্রাজিলের গণতন্ত্রের ওপর এটি ছিল সবচেয়ে বড় আঘাত, আর এ ধরনের চক্রান্তের কঠোর শাস্তি না দিলে ভবিষ্যতে দেশ আরও বিপদের মুখে পড়বে।
ভারত, আমেরিকা সহ আন্তর্জাতিক মহলেও এখন এই মামলা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ব্রাজিলে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই এখন নতুন অধ্যায়ে ঢুকে পড়েছে, যেখানে সামরিক বাহিনীর অভ্যন্তরীণ শক্তিকেন্দ্রগুলিও ভেঙে পড়ছে আদালতের কঠোর নজরদারিতে। লুলার সরকার এর মধ্যেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
/anm-bengali/media/agency_attachments/IpyOoxt2orL626OA8Tlc.png)
Follow Us