মিশেলের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরেছে, কার সঙ্গে প্রেম করছেন বারাক ওবামা

মিশেলের সঙ্গে বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন বারাক ওবামা।

author-image
Tamalika Chakraborty
New Update
barak obama

নিজস্ব সংবাদদাতা: একসময় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন তিনি। দু’দফায় সামলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব। সেই বারাক ওবামার ব্যক্তিগত জীবন আবারও উঠে এল আলোচনার কেন্দ্রে। সম্প্রতি প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ও তাঁর স্ত্রী মিশেল ওবামার সম্পর্কে টানাপোড়েন এবং হলিউড অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টনের সঙ্গে ওবামার প্রেমের গুঞ্জন ঘিরে চর্চা তুঙ্গে। অবশেষে এই বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন ওবামা নিজেই।

সম্প্রতি হ্যামিলটন কলেজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সঞ্চালক স্টিভেন টেপারের প্রশ্নের উত্তরে ওবামা স্বীকার করেন, তাঁর প্রেসিডেন্সির দ্বিতীয় মেয়াদে ব্যক্তিগত জীবনে বড়সড় সংকটের মুখে পড়েছিলেন। বলেন, "খুব গভীর সংকট তৈরি হয়েছিল। সেই সময় আমি প্রতিনিয়ত নিজের সঙ্গে লড়াই করছিলাম। সম্পর্ক বাঁচাতে নানা রকম চেষ্টা করতাম। কখনও কখনও মিশেলের মন ভালো করার জন্য মজার কিছু বলতাম, হাসানোর চেষ্টা করতাম।”

বারাক ও মিশেলের পরিচয় সেই আটের দশকে, আইন কলেজে পড়ার সময়। প্রেমের সূত্র ধরে ১৯৯২ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাঁরা। তাঁদের দুই কন্যা— মালিয়া ও সাশা। রাজনৈতিকভাবে সফল দম্পতির ব্যক্তিগত জীবনও ছিল প্রশংসনীয়। তবে ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে।

ওবামার কথায়, দ্বিতীয়বার হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব সামলানোর সময় চরম চাপ ও ব্যক্তিগত সংকটে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে সম্পর্কে এমন অবস্থা দাঁড়ায় যে তাঁরা বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েও ফেলেছিলেন বলেই ইঙ্গিত দেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।

mishelle obama


সম্প্রতি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে বারাক ওবামাকে একাই দেখা গিয়েছে। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের শেষকৃত্য, কিংবা ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান— কোথাও তাঁর পাশে ছিলেন না মিশেল। আর তাতেই জোরদার হয় বিচ্ছেদের জল্পনা। এর মধ্যে জেনিফার অ্যানিস্টনের সঙ্গে ওবামার সম্পর্কের গুঞ্জন পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে।

যদিও ওই প্রেমের গুজব নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সরাসরি প্রতিক্রিয়া দেননি ওবামা বা অ্যানিস্টন কেউই। তবে হ্যামিলটনে তাঁর বক্তব্যে ব্যক্তিগত জীবনের কঠিন অধ্যায়ের কথা কবুল করায় ফের আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে ওবামা-মিশেল দাম্পত্য।

বর্তমানে তাঁরা একসঙ্গে না থাকলেও আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। আগামী দিনেই জানা যাবে, দীর্ঘদাম্পত্যের সেই সম্পর্ক আদৌ টিকবে কিনা।